ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ অব্যাহত
শেয়ারবাজার ডেস্ক: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে আজও ঢাকামুখী যাত্রী চাপ অব্যাহত রয়েছে। লঞ্চ সচল থাকায় সোমবার (২ আগস্ট) সকাল থেকে ফেরিতে বেড়েছে যাত্রীদের উপস্থিতি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিদর্শক মো. সোলেমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে ছোট ছোট যানবাহনে করে যাত্রীরা আসছেন। অনেকে মোটরসাইকেল,ব্যাটারিচালিত অটোসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে ঘাটে আসছেন। অনেক কর্মস্থলমুখী মানুষকে ট্রাকে করে ছুটতে দেখা গেছে। অনেকে কোনো যান না পেয়ে পায়ে হেঁটে পারি দিচ্ছেন গন্তব্যে। এর ফলে বেড়েছে যাত্রী ভোগান্তি।এদিকে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি দুই নৌরুটের লঞ্চে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে।
পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, সোমবার সকাল হতে দুই নৌরুটে ৮৬টির মধ্যে ৩৬টি লঞ্চ চলাচল করছে। এছাড়া ১৭টির মধ্যে ৪টি রো রো,৫টি কেটাইপসহ ৯টি ফেরি চলাচল করছে। বাকি ৮টি ফেরি ও ৫০টি লঞ্চ উভয় ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা আছে। শিমুলিয়াঘাটে আসা প্রতিটি লঞ্চেই দেখা যাচ্ছে যাত্রীদের গাদাগাদি। ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো পারি দিচ্ছে পদ্মা। এতে লঞ্চে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্য বিধি, সামাজিক দূরত্ব। পাশাপাশি করোনা ঝুঁকিও দেখা দিয়েছে। তবে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষ্যে মাইকিং করা হচ্ছে নিয়মিত।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সাফায়েত আহম্মেদ জানান, আজও ফেরিতে বাংলাবাজার থেকে প্রচুর যাত্রীরা আসছে। শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় শতাধিক ছোট-বড় গাড়ি রয়েছে পারাপারের অপেক্ষায় তবে মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সিরাজুল কবির জানান, বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে ফেরিগুলোর সময় বেশি লাগছে। প্রতিটি ফেরিকে স্রোতের বিপরীতে ও নদীতে ৩-৪ কিলোমিটার অধিক পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রী চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরেও ঘাটে পারাপারে কোন গাড়ি অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না।