আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ অগাস্ট ২০২১, মঙ্গলবার |

kidarkar

ব্যাংক খাতে ভর করে আরও একটি ভালো দিন পার করলো পুঁজিবাজার

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ব্যাংকের ওপর ভর করে পুঁজিবাজারে আরও একটি ভালো দিন গেল। সূচক বেড়েছে ৫০ পয়েন্টের বেশি। আর এর মধ্য দিয়ে ২০১১ সালের ২৮ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে। ওই দিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৫৮৭ পয়েন্ট। এর চেয়ে ৫২ পয়েন্ট কমে শেষ হয় দিনের লেনদেন।

লেনদেনেও দেখা গেছে ঊর্ধ্বগতি। গত ১০ জুনের পর সবচেয়ে বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিন লেনদেন হলো দুই হাজার কোটি টাকার ঘরে। আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ১২৭ কোটি টাকা।

খাতওয়ারি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংকে বেড়েছে সবগুলোর দর। ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতও টানা দ্বিতীয় দিন ছিল চাঙা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও ছয়টি ছাড়া বেড়েছে সবগুলোর দর।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতেও যতগুলোর দর কমেছে, বেড়েছে তার চেয়ে বেশি।

ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা।

আগের দিন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া বস্ত্র খাত দর হারিয়েছে। আর দর পতনের বৃত্তে থাকা বিমা খাতের সিংহভাগ কোম্পানির দর কমল পর পর দ্বিতীয় দিন।

সকাল ১০টায় লেনদেনের শুরুতে সূচক বাড়লেও পরে তা কমে আগের দিনের সমান অবস্থানে চলে যায়। তখনও ব্যাংক খাতের শেয়ারগুলোতে গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় দেখা যায় স্থবিরতা। কোনো কোম্পানির দাম বাড়ে ১০ পয়সা, তো অন্য একটি কোম্পানির কমে ১০ পয়সা।

বেলা ১১টার পর থেকে ব্যাংক খাতে ঝুঁকতে শুরু করে বিনিয়োগকারীরা। আর মুহূর্তেই সূচকে ঘরে উত্থান। বেলা ১টা ৬ মিনিটে তা ৬ হাজার ৫৪৭ পয়েন্ট উঠে। এরপর কিছুটা কমলেও দুইটায় লেনদেন শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে তা উঠে ৬ হাজার ৫৪৯ পয়েন্টে। তবে শেষ মুহূর্তে সমন্বয়ের কারণে সেখান থেকে ১৪ পয়েন্ট কমে শেষ হয় লেনদেন।

২০২০ সালে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা নগদ লভ্যাংশ বিতরণ, চলতি বছরের অর্ধবার্ষিকে বিস্ময়কর আয়ে আগামীতে লভ্যাংশ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশার মধ্যেও এই খাত নিয়ে ছিল হতাশাই।

গত ২৭ মে এক দিনে সব খাতের দর বৃদ্ধি, দিনের সর্বোচ্চ দরে সাতটি ব্যাংকের লেনদেন, আরও সাতটির কিছুটা কম দামে লেনদেন শেষ করার পর এই খাতটিও চাঙা হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে সেই আশা পূরণ হয়নি। সেখান থেকে দাম খুব একটি না কমলেও এরপর বিমা, বস্ত্র, প্রকৌশল এমনকি মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকলেও ব্যাংক কেন ঝিমিয়ে, তা নিয়ে নানা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হাজির হতে থাকে।

দিনের শুরুটাও ছিল অন্যান্য দিনের মতোই। তবে এক পর্যায়ে সব ব্যাংকের দামই অনেকটাই বেড়ে যায়। যদিও পরে বিক্রয়ের চাপে দাম কিছুটা কমে আসে। তার পরেও দিন শেষে একটিও ব্যাংকের দাম না কমার চিত্র ২৭ মের পর ঘটেছে হাতে গোনা দুই এক দিন। তার এর আগে এমটি যেদিন ঘটেছে, সেদিন দাম বাড়ার হার খুব একটা বেশি ছিল না।

তবে এমন ভালো দিনেও সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে কেবল একটি ছিল ব্যাংকের। আর এই খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দাম বাড়া কোম্পানিটির অবস্থান সামগ্রিক তালিকায় ৩২ নম্বরে।

আইএফআইসি ব্যাংকের দাম বেড়েছে ৮.১৪ শতাংশ, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের বেড়েছে ৪.০৮ শতাংশ।

এ ছাড়া প্রিমিয়ারের ৩.৬৭, এবির ৩.৬৫, রূপালীর ৩.৪৯, ডাচ-বাংলার ৩.৩৬, মার্কেন্টাইলের ৩.২৬, ইউসিবির ৩.১২, ব্যাংক এশিয়ার ৩.০৯, ওয়ান ব্যাংকের ৩.০৫ শতাংশ দাম বেড়েছে।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ২৪৬.২৩ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ১০২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

ব্যাংকের মতো আর্থিক খাতেও পর পর দ্বিতীয় দিন দেখা গেছে চাঙাভাব। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত দীর্ঘদিন ধরেই। বাকিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টির, কমেছে ৬টির আর পাল্টায়নি ৩টির দর।

ব্যাংকের মতো এই খাতের কোম্পানিতেও বিনিয়োগ বেড়েছে। আজ হাতবদল হয়েছে ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৯০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.