সামিটের নিজস্ব টেস্টিং এবং ক্যালিব্রেশন পরীক্ষাগার দেশের আইপিপি-খাতে প্রথম বিএবি-র জাতীয় পর্যায়ে সনদ অর্জন করেছে
সামিট পাওয়ার লিমিটেডের উদ্যোগে টেস্টিং এবং ক্যালিব্রেশন পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠানটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) স্বীকৃত সনদ লাভ করেছে। এই সনদটি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের জন্য একটি মাইলফলক, কারণ এসপিএল দেশের আইপিপি-খাতে প্রথম যাদের নিজস্ব পরীক্ষাগারের ফলাফল জাতীয় পর্যায়ে গণ্য করা হবে। নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত, এই ল্যাব দুটো আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়েছে যেখানে পাওয়ার প্লান্টের যন্ত্রপাতি সমূহ আন্তর্জাতিক মানে পরীক্ষা ও ক্রমাঙ্ক নির্ণয় করা যায় এবং ল্যাব দুটো আই.এস.ও/আই.ই.সি, ১৭০২৫:২০১৭ -এর সর্বশেষ মানদণ্ড অর্জন করেছে।
বিএবি -র এই অনুমোদন সামিট টেস্টিং এন্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবের পরীক্ষার ফলাফল নির্ণয়ের সক্ষমতা ও সততা জাতীয় পর্যায়ের স্বীকৃতির প্রশংসা করে মাননীয় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, এমপি বলেন, “বাংলাদেশ সরকার চায় শিল্পখাতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করা । আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে এই বিষয়ে সামিট টেস্টিং এন্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবসমূহ সকল আবশ্যক শর্ত মেনে দেশের আইপিপি-খাতে প্রথম বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের এই সনদ অর্জন করেছে।”
বর্তমানে এসপিএল-এ বাংলাদেশের একমাত্র স্বীকৃত ল্যাব যা সকল প্রকার ইলেট্রিক্যাল টেস্টিং করবার সক্ষমতা আছে, যেমন – বিদ্যুতের, মৃত্তিকা ও ইন্সুলেশন রেজিস্টেন্স টেস্ট এবং অয়েল ডি-ইলেকট্রিক স্ট্রেংথ মেজারমেন্ট টেস্ট। এছাড়া এই ল্যাবরোটরির নিম্নবর্ণিত যন্ত্রপাতি সমূহ ক্রমাঙ্ক নির্ণয় করার সক্ষমতা আছে যেমন – তাপ এবং চাপ মাপার গেজ ও সেন্সর, আইআর এবং গ্লাস থার্মোমিটার, এসি/ডিসি ভোল্টেজ এবং ইলেকট্রিক কারেন্ট।
সংক্ষেপে সামিট পাওয়ার লিমিটেড:
সামিট পাওয়ার লিমিটেড দেশের বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় ট্রিপল ‘এ’ রেটিং প্রাপ্ত এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠান। এটি সামিট গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। সামিট বতর্মানে জাতীয় গ্রীডের জন্য ১,৯৪১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। সামিট পাওয়ার লিমিটেড ২০০৫ সালে ঢাকা এবং চট্রগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভূক্তির পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। সামিট গ্রুপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১৩ সাল থেকে টানা পাঁচবার সেরা বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের পুরস্কার পেয়ে আসছে।