আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার |

kidarkar

দর ধরে রাখার অদম্য লড়াইয়ে এএফসি এগ্রো বায়োটেক

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: করোনাভাইরাস শনাক্তে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কিট সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) পাওয়া পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসাযন খাতের কোম্পানি এএফসি এগ্রো বায়োটেক শেয়ার দর ধরে রাখতে অদম্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, সবশেষ গত ২৯ আগস্ট ৩০ টাকা ৮০ থেকে শেয়ারটির দর বাড়তে থাকে। ৫ সেপ্টেম্বর দর দাঁড়ায় ৩৬ টাকা ৬০ পয়সায়। এরপর ক্রমাগত কেন কোম্পানিটির দর বাড়ছে তা জানতে চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কোম্পানির পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়, কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারের দর বাড়ছে। তবে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে শেয়ারটির দর কিছুটা নিম্নমুখি। গত বৃহস্পতিবার শেয়ারটির দর দাঁড়ায় ৩২ টাকা ৯০ পয়সা।

এই দর বৃদ্ধিতে উৎকণ্ঠার কিছু নেই বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, কোম্পানিটি এ বছর করোনাভাইরাস শনাক্তে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কিট সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) পেয়েছে। পাঁচ লাখ আরটি-পিসিআর কিটের সঙ্গে ভিটিএম ও সওয়াব স্টিক সরবরাহ করবে। যার মূল্য ৪৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এটি কোম্পানির জন্য একটি ইতিবাচক ইন্ডিকেটর।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস শনাক্তে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কিট উৎপাদনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি পায় এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড। গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ অনুমতির জন্য ইমারজেন্সি ইউজ অথরাইজেশন (ইইউএ) সনদ পায় প্রতিষ্ঠানটি। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতির ফলে এখন থেকে এএফসি ডিটেক এনকভ আরটি-পিসিআর কিট ও এএফসি প্রিপ ভাইরাল আরএনএ এক্সট্রাকশন কিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন করতে পারবে এএফসি এগ্রো বায়োটেক।

এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড ২০২০-২১ হিসাব বছরের নয় মাসের (জুলাই-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ৮৮ শতাংশ কমেছে। চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১ টাকা ১ পয়সা।

২০১৪ সালে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত হওয়া ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১১৫ কোটি ২১ লাখ ৬ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির ১১ কোটি ৫২ লাখ ১৬ হাজার ২০০টি শেয়ারের মধ্যে পরিচালকদের কাছে রয়েছে মাত্র ৩০.২৯ শতাংশ। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৮.০২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩১.৬৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.