সাক্ষাতকারে কৃষিবিদ ফিড চেয়ারম্যান ড. আলী আফজাল
‘অন্য যে কোনো পণ্য থেকে আমাদের পণ্য ভালো, এটা চ্যালেঞ্জ’
শেয়ারবাজারের এসএমই খাতে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে কৃষিবিদ ফিড লিমিটেড। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টরের (কিউআই) মাধ্যমে কোম্পানিটি টাকা উত্তোলন করে শেয়ারবাজারের এসএমই খাতে তালিকাভুক্ত হবে। উত্তোলিত টাকা দিয়ে কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ ও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কোম্পানিটির কিউআইতে আবেদন গ্রহণ ১০ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানটিকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. আলী আফজাল। কৃষিবিদ ফিডকে নিয়ে তার এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ও কাজ করার বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম ও ক্যাপিটাল মার্কেটের শীর্ষ স্থানীয় নিউজ পোর্টাল শেয়ারবাজার নিউজ এর সম্পাদক মাহবুবা ইসলাম ও বিজনেস রিপোর্টার আতাউর রহমান এর সাথে।
নিচে তার কথাগুলো পাঠকের জন্য তুলে ধরা হয়েছে।
শেয়ারবাজার রিপোর্টঃ ২০০১ সালে আমরা ৫ জন কৃষিবিদ মিলে এই গ্রুপের কার্যক্রম শুরু করি। আমরা কৃষি বিজ্ঞানীরা এদেশের আলোবাতাসে বড় হয়েছি, এদেশের পরিবেশের সাথে মিলেমিশে বেড়ে উঠেছি, তাই এদেশের জন্য, এদেশের কৃষকের জন্য, কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য আমাদের অনেক কিছু করার আছে। দেশের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। সেই ভাবনা থেকেই আমাদের কৃষিবিদ গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়।
চেয়ারম্যান বলেন, কৃষিবিদ ফিড মূলত পোল্ট্রি ফিড, ফিশ ফিড ও ক্যাটেল ফিড- এই তিন ধরনের খাবার উৎপাদন করে থাকে। মুরগী, মাছ ও গবাদি পশুর চাহিদা এবং ধরনের উপর নির্ভর করে আমরা প্রায় ৬৬ ধরণের ফিড উৎপাদন করে থাকি। কৃষিজাত খাদ্যের বাজার অনেক বড়। বড় বড় নামকরা কোম্পানিগুলো যদি এই বাজারের প্রথম সারির হয় তবে তার পরের সারিতেই আমাদের অবস্থান। তবে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলবো যদি কোয়ালিটি চেক করা হয় বাংলাদেশের অন্য যে কোনো কোম্পানি থেকে আমাদের পণ্যের মান ভাল। কোয়ালিটিতে আমরা নাম্বার ওয়ান।
তিনি বলেন, আমরা ধীরে ধীরে সামনের দিকে অগ্রসর হতে চাই। এটি কৃষি বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান, তাই রাতারাতি অনেক কিছু করে ফেলবো এই নীতিতে বিশ্বাসী নই। পূর্বে অনেক কোম্পানিই রাতারাতি উঠে এসেছিলো, কিন্তু বাজারে বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি। ফিড মার্কেটে প্রতি মাসে প্রায় কয়েক লাখ মেট্রিক টন চাহিদা থাকে। এখন আমাদের একটি মাত্র ফ্যাক্টরি। আমরা এই বাজারে আমাদের অংশ বাড়াতে আরো কয়েকটি ফ্যাক্টরি স্থাপনের পরিকল্পনা করেছি। বর্তমানে আমাদের ফিড উৎপাদনের ক্ষমতা প্রতিমাসে ৬ হাজার মেট্রিক টন, যা আগামী অর্থবছরের মধ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর বছর এই ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে মাসে প্রায় ১৫ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত করতে পারবো বলে আশা করি।
ড. আলী আফজাল বলেন, অতিমারী চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের দেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলো। আর ফিড ইন্ডাস্ট্রির কাঁচামালের বড় একটা অংশই আমাদের আমদানি করতে হয়, কিন্তু আমদানি বাধাগ্রস্ত হবার কারণে কাঁচামালের মূল্য প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। কিন্তু এর উপর ভিত্তি করে আমরাও যদি ফিডের দাম বাড়িয়ে দিগুণ করে দেই তবে কি চাষী বাচবে? এই জায়গাগুলোতে আমরা অনেকটাই বেকায়দায় আছি।
তিনি বলেন, কিউআইও থেকে যে ২২ কোটি টাকা পাবো তা মূলত কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য কাজে লাগানো হবে। উত্তোলন করা অর্থের একটি অংশ দিয়ে এই বছরেই আমরা কৃষিবিদ ফিডের দুইটি নতুন কারখানা স্থাপন করবো। বর্তমানে আমাদের শুধু একটি কারখানা আছে। আমরা মাগুরাতে প্রায় ১০ একর জমি কিনেছি। দিনাজপুরে কেনা হয়েছে ৮ একর জায়গা। আমরা এই দুই জেলায় ২টি কারখানা স্থাপন করবো। এতে আরও সহজে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের খামারিদের কাছে আমাদের পণ্য পৌঁছে দিতে পারবো। এতে আমাদের পণ্য পরিবহন খরচ অনেকটা সাশ্রয় হবে, আ কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখবে। এছাড়া আমাদের বিদ্যমান কারখানাগুলোতেও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।
সর্বশেষ বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি নিজে পুঁজিবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট নই। একজন কৃষি বিজ্ঞানী হিসেবে আমার পরামর্শ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেন সবাই সচেতন থাকেন, জেনে বুঝে বিনিয়োগ করেন। হুজগে পড়ে বা গুজবে কান দিয়ে যেন বিনিয়োগ না করেন। কোম্পানির খোঁজখবর নিয়ে, অতীত রেকর্ড ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা বিবেচনা করে বিনিয়োগ করা উচিৎ বলে তিনি জানান।
As global is improving, our commodities are improving step by step, no way to go to back. We had, have and will have humankind traditions.
I want exports more and imports are less. These are not in words but in practices.
Bujlam apnara valo maner products den.. Kintu amra j invest korbo ei bebshay r lavoban hobo er Grant koto percent