বিমা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা সম্ভব- বিএসইসি চেয়ারম্যান
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সামনে বন্ড মার্কেট অনেক বড় হবে। এটি জনপ্রিয় হওয়ার আগ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে হবে। তা না পারলে ভালো কোন রিটার্ন আসবে না। আপনি যদি গ্রাহককে খুশি করতে না পারেন, তাহলে সে কেনো আপনার কাছে আসবে। তাই বীমা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত ‘বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় বীমা ধারনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বীমা কোম্পানির ব্যবসা ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার বিভিন্ন উপায় তুলে ধরেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী, সালমা নাসরীন, বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক মো. সাইফুর রহমান ও ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান।
শিবলী রুবাইয়াত বলেন, আমি খুবই খুশি যে ডিএসই আজ বীমা পণ্য নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছে। আমাদের আইডিআরএ চেয়ারম্যান আগে থেকেই শেয়ারবাজারের সঙ্গে পরিচিত। যার জন্য তিনি ক্যাপিটাল মার্কেট বুঝেন। আমি উনার সঙ্গে কয়েক মাস আগে কথা বলেছি। তখন বন্ড জনপ্রিয় করার জন্য কিছু করছি না কেনো বললাম। এটি জনপ্রিয় করতে গিয়ে শুরুর দিকে ধাক্কা আসবে। এছাড়া বর্তমানে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা বন্ডের জন্য একটি বড় বাধা।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বিনিয়োগকারীদেরকে সুরক্ষা দিতে হবে জানিয়েছেন উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, কিন্তু কিভাবে দেব? আমিতো জানি না কোন কোম্পানি কখন কি ঘটায় ফেলবে। কে যে আজ তদারকির পরে কালকে কি করবে, তাতো জানি না। আমরাতো সারাক্ষন কারও উপর চোখ বা ক্যামেরা লাগিয়ে বসে থাকতে পারি না। ঘটনাতো হঠাৎ ঘটে যায়। তখন কিভাবে বিনিয়োগকারীদেরকে সুরক্ষা দেব? এর সমাধান বীমা খাত।
তিনি বলেন, বন্ডকে জনপ্রিয় করতে এবং বন্ড ক্রেতাদেরকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা আইডিআরএর সঙ্গে একটি প্রোডাক্ট ডিজাইন করেছি। এটা হয়তো সামনে আইডিআরএ চেয়ারম্যান আলোচনা করে সবার সামনে নিয়ে আসবেন। এই বন্ডের ব্যবসা হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার। এই বন্ডে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারলে আমরা জনপ্রিয় করতে পারব এবং বীমা কোম্পানিগুলোর কমিশন থেকে অনেক আয় করতে পারবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে যেসব সম্পদ বা পণ্য সামনে এসে সুযোগ তৈরী করে দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সেই সুযোগ আমরা নিতে পারি নাই। ধরেন এসএমই কোম্পানিগুলো বড় বড় কোম্পানিগুলোতে মাল দিতে পারে না। কারন বড় বড় কোম্পানিগুলো বাকিতে মাল চায়। তারা ৩০-৯০ দিন পরে বিল দিতে চায়। কিন্তু এসএমই কোম্পানিগুলোর পক্ষে এই বাকিতে পণ্য দেওয়ার সুযোগ কি আছে। থাকলেও তাদেরকে বাকির টাকা আদায় হওয়া পর্যন্ত পূণঃরায় উৎপাদনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এখানে যদি পেমেন্টটা বা চেকটা বীমা করে দিতাম, সে হয়তো ১ টাকা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম দিয়ে দিত। এখানে লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা বীমা কাভারেজ দিয়ে একদিকে বীমা কোম্পানির আয় বাড়ানো যায়, অন্যদিকে এসএমই কোম্পানিগুলোর ব্যবসা ২-৫ গুণ বাড়াতে সাহায্য করা যায়। কিন্তু আমরা করছি না।
Right
He is really a genius person …….. we salute him.
It is an innovated idea. This type of thing already has been in most of the foreign countries.
100% Right
উনি আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে পড়তাছেন, অনেক অনেক বেশি কথা বলেন এখন।
এটি একটি ভালো উদ্যোগ। বন্ড বা মিচিউয়াল ফান্ডের বিনিয়োগে বীমা সুবিধা থাকলে এখাতে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিমূক্ত থাকবে এবং বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে।
উনি আসল কাজ ছেড়ে নকল কাজ নিয়ে আছেন। আসল কাজ কর বাবা, নইলে সব নস্ট হয়ে যাবে।