আজ: মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ অক্টোবর ২০২১, রবিবার |

kidarkar

প্রিমিয়াম আদায়ে সেরা হলেও ধারাবাহিক পতনে ন্যাশনাল লাইফ

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে গত বছরে প্রিমিয়াম সংগ্রহে শীর্ষ ৫ কোম্পানির তিনটিই পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। এই তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রিমিয়াম সংগ্রহে শীর্ষে রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত এক হাজার ১৭৯.৯৪ কোটি টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। যা এ খাতের মোট প্রিমিয়ামের ১২.৪২ শতাংশ।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে প্রিমিয়াম সংগ্রহে শীর্ষে থাকলেও পুঁজিবাজারে গত একমাসে তেমন ইতিবাচক ব্যবসা করতে পারেনি কোম্পানিটি। বলতে গেলে ধারাবাহিক পতন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সেপ্টম্বরের ১২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয় ২৫৩ টাকা ৬০ পয়সায়। আজ রোববার শেয়ারটি সর্বশেষ ২২২ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ একমাসের কিছু বেশি সময়ের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা।

তবে ধারাবাহিক এই পতনের নির্দিষ্ট কোনো কারণ কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা যায়নি।

বিনিয়োগকারীদের ধারনা, গত কয়েকদিন পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক পতনে বীমা খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া বীমার শেয়ার নিয়ে কারসাজির গুঞ্জন বেশ পুরোনো। এসব কারণে ন্যাশনাল লাইফের শেয়ারে পতন হতে পারে।

বিষয়টি জানতে ন্যাশনাল লাইফের কোম্পানি সচিব আব্দুল ওয়াহাব মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

দ্বিতীয় প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী, কোম্পানিটির প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ৯৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১২০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

আগের বছর একই সময় ছিল ৫২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৭১৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

এদিকে বছরের ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন,২১)কোম্পানিটির প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ১১৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আর লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১২০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

আগের বছর কোম্পানিটির প্রিমিয়াম আয় হয়েছিল ১৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৭১৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকার।

১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটির ৫২ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। বিদেশিদের কাছে দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৭ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.