পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
জাতীয় ডেস্ক: আলোচিত দুর্নীতি মামলার আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) বিরুদ্ধে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেন ও অবৈধ উপায়ে অর্জন করে এসটিআর, এলসিটিআর এবং ইএফটিআরের মাধ্যমে প্রায় ১ দশমিক ১৭ কোটি কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ (৭৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা) অর্থ কানাডায় পাচারের দায়ে মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।
বুধবার (১০ নভেম্বর) দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান দুদক সচিব সংস্থাটির সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
যে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হবে- গত ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি মামলা নং দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর মামলা নং ৩; দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে আইন, ২০১২ এর ৪(২),৪(৩) ধারায় মামলা করা হয়।
মামলার অভিযোগের বিষয়বস্তু দুদক জানিয়েছে- জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ পাচার। আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার অবৈধ পন্থায় নিজ নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪২৫ কোটি ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ১৪০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে।
এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদসহ নিজের অবৈধ সম্পদের প্রকৃত অবস্থান গোপন করার হীন উদ্দেশ্যে নিজ নামে-বেনামে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানি অথবা কাগুজে ব্যক্তিবর্গের নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পরিচালিত ১৭৮টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ হাজার ৮১ কোটি টাকা জমা ও প্রায় ৬ হাজার ছিয়াত্তর কোটি টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেন হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর করে।
প্রশান্ত কুমারের সহোদর ভাই আসামি প্রিতিশ কুমার হালদারসহ ১৩ জন আসামির পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশ হতে সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত হয়ে কানাডায় অসংখ্য এসটিআর, এলসিটিআর এবং ইএফটিআরের মাধ্যমে ১১ কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাচার করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারভুক্ত আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ১৪ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের সুপারিশ করেছেন।