আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ নভেম্বর ২০২১, রবিবার |

kidarkar

খুলনায় ৫৬ প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন 

জাতীয় ডেস্ক: খুলনার চারটি উপজেলার ২৫ ইউনিয়নে দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

এরমধ্যে ২২টি ইউনিয়নে কম ভোট পাওয়ায় ৫৬ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের চারজন, ইসলামী আন্দোলনের ১১ জন, জাতীয় পার্টি-জেপির একজন, জাকের পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র ৩৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।

অপরদিকে, রূপসা উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নে কোন প্রার্থী না থাকায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়া ডুমুরিয়ার শোভনা ও মাগুরখালী ইউনিয়নের কোন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন না।

খুলনার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ৫ হাজার টাকা করে জামানত জমা দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে ওই ইউনিয়নের সব ভোটকেন্দ্রে (কাস্টিং ভোট) পড়া মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ অথবা ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেতে হয়।

এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রূপসা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৭ প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এরমধ্যে আইচগাতী ইউনিয়নের ৪ প্রার্থীর মধ্যে দুইজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন— ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী (হাতপাখা) গাজী মো. জাহিদুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মারুফ শেখ (আনারস)।

শ্রীফলতলা ইউনিয়নের ৫ প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন— স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন মোল্যা (আনারস), জাতীয় পার্টি-জেপির মো. জাহিদুর রহমান (লাঙল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শহিদ জমাদ্দার (মোটরসাইকেল)।

টিএস বাহিরদিয়া ইউনিয়নের ৩ প্রার্থীর মধ্যে দুইজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন— স্বতন্ত্র প্রার্থী খান শাহজাহান কবীর (আনারস) ও জাকের পার্টির সেখ ইউসুফ আলী (গোলাপ ফুল)।

বটিয়াঘাটা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১৪ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এরমধ্যে বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়নের ৪ প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন— স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান মোল্লা (চশমা)।

সুরখালী ইউনিয়নের ৬ প্রার্থীর মধ্যে চারজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন— স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আ. হাদী সরদার (চশমা), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. তাওহিদুল ইসলাম সরদার (হাত পাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান শেখ (মোটর সাইকেল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ হেমায়েত আলী (ঘোড়া)।

ভান্ডারকোট ইউনিয়নের ১২ প্রার্থীর মধ্যে ৯ জন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন— আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শেখ রওশন আলী (হাত পাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আজিজুল হক (ঘোড়া), মো. আমানত আলী শেখ (অটোরিকশা), মো. ইখতিয়ার হোসেন মোল্যা (টেবিল ফ্যান), মো. ইমরান উল্লাহ (রজনীগন্ধা), মো. খোকন মোল্লা (টেলিফোন), মো. মাহাবুর রহমান শেখ (ঢোল) ও শফিউল্লাহ শেখ (দুটি পাতা)।

ফুলতলা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৭ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এর মধ্যে আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৩ প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন— স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইকতিয়ার হাসান মওলা (আনারস)। ফুলতলা সদর ইউনিয়নের ৪ প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন— স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাকির মোল্যা (ঘোড়া)।

দামোদর ইউনিয়নের ৫ প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন— ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সরদার গোলাম সরোয়ার (হাত পাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী জুবাইদা খান সুরভী (ঘোড়া) ও মো. সেলিম সরদার (আনারস)।

জামিরা ইউনিয়নের ৫ প্রার্থীর মধ্যে দুইজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু হেনা মোস্তফা কামাল চৌধুরী (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুল হক গাজী (চশমা)।

ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ২৮ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এরমধ্যে আটলিয়া ইউনিয়নের ৩ প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন— স্বতন্ত্র প্রার্থী দৌলত হোসেন সরদার (ঘোড়া)।

ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের ৪ প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন— স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপুল মন্ডল (ঘোড়া)।

ধামালিয়া ইউনিয়নের ৭ প্রার্থীর মধ্যে চারজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন— ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী কামরুজ্জামান ফকির (হাত পাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম তোজাম্মেল হক (রজনীগন্ধা), জিএম সাকি (ঘোড়া) ও মো. আনারুল ইসলাম (অটোরিক্সা)।

ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের ৬ প্রার্থীর মধ্যে চারজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন— ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আ. ছালাম খান (হাত পাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর আলম (আনারস), মো. মাসুদ রানা (ঘোড়া) ও শেখ রবিউল ইসলাম (মোটর সাইকেল)।

খর্নিয়া ইউনিয়নের ৫ প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন— ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আহসান আলী গাজী (হাত পাখা)।

মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের ৭ প্রার্থীর মধ্যে পাঁচ জন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন— ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম বিশ্বাস (হাত পাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল আজিজ শেখ (অটোরিক্সা), মো. আব্দুল হালিম (মোটর সাইকেল), মো. আশরাফুল শেখ (ঘোড়া) ও মো. শহিদুল ইসলাম (চশমা)।

রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ৪ প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন— আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান শাকুর উদ্দিন (নৌকা)।

রংপুর ইউনিয়নের ৩ প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন— স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজল বিশ্বাস (আনারস)। রুদাঘরা ইউনিয়নের ৪ প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. মাহবুবুল আলম (হাত পাখা)।

সাহস ইউনিয়নের ৫ প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন— ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান (হাত পাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এফএম আনিচুর রহমান (মোটর সাইকেল) ও মো. শাহাজালাল মোড়ল (ঘোড়া)।

শরাফপুর ইউনিয়নের ৪ প্রার্থীর মধ্যে দুইজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন— স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএম আলমগীর কবির (আনারস) ও মো. ওয়াহিদুজ্জামান (ঘোড়া)।

গুটুদিয়া ইউনিয়নের ৭ প্রার্থীর মধ্যে চারজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন— আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী আলমগীর হোসেন (নৌকা), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. কবির সানা (হাত পাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আব্দুল্লাহ (মোটর সাইকেল) ও সুষমিতা রানী গাইন (ঘোড়া)।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.