লাফার্জের পক্ষে মামলার রায়
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশনের করা ৯৭ কোটি টাকার বকেয়া দাবি থেকে আদালতের রায়ে দায়মুক্তি পেল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট।
উল্লেখ্য, জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানি লাফার্জের বিরুদ্ধে ২৮ অক্টোবর ২০০৭ থেকে ২৯ নভেম্বর ২০০৭ পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বাবদ ৯৭ কোটি টাকার বকেয়া দাবির আবেদন করে। এর বিপরীতে বিজ্ঞ আদালত লাফার্জের পক্ষে রায় প্রদান করে।
কিন্তু জালালাবাদ গ্যাসের করা মামলায় ‘টেক অর পে কোয়ানটিটি’র ভিত্তিতে ১২ এপ্রিল ২০১০ থেকে ১৫ মে ২০১০ পর্যন্ত লাফার্জের বকেয়া বিল বাবদ বকেয়া অর্থ ফেরত দিতে হবে। আর ওই বকেয়া অর্থের ওপর লাফার্জকে ৬শতাংশ হারে সুদ প্রদান করতে হবে।
এর পাশাপাশি আদালত ৭৫লাখ টাকার বিলের আরেকটি আবেদনেও লাফার্জের পক্ষে রায় দেন।
জানা যায়, চুক্তি অনুযায়ী গ্যাস সরবারাহের বৈধতা ও এর বিপরীতে বকেয়া পাওনা সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় তা আদালত পর্যন্ত পৌঁছায়। আর এ মামলায় লাফার্জের পক্ষেই আসে অধিকাংশ রায়।
গতকাল মঙ্গলবার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং স্টক এক্সচেঞ্জ লিস্টিং রেগুলেশন অনুযায়ী সালিসি আদালত থেকে এ রায় পায় কোম্পানি। কোম্পানি সচিব কাজী মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড ও জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের মধ্যে গ্যাস বিক্রি সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে (২৮ অক্টোরব থেকে ২৯ নভেম্বর ২০০৭) এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে (এপ্রিল ২০১০ থেকে অগাস্ট ২০১১) লাফার্জ সুরমা যে গ্যাস সরবারাহ করেছে তা বৈধ বলে যায় দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি সে সময়ে কোম্পানিটি জালালাবাদের কাছে গ্যাস আদান-প্রদানে দায়ী ছিলো না বলেও জানিয়েছে ট্রাবুনাল। যদিও সে সময়ে (এপ্রিল ২০১০ থেকে অগাস্ট ২০১১) ৮০ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ৫২৩ টাকা অপরিশোধিত বলে দাবী জানিয়েছে জালালাবাদ গ্যাস। আর এ সংক্রান্ত জটিলতা এড়ানোর জন্য বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়ায়। কিন্তু গতকাল ৩০জুন বিকেল ৩টা ১মিনিটে লাফার্জ সুরমার পক্ষে রায় দেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের দেয়া এ রায়ের জানানো হয়, প্রথম ধাপে (২৮ অক্টোরব থেকে ২৯ নভেম্বর ২০০৭) লাফার্জ ৯ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার ১১১টাকার এবং দ্বিতীয় ধাপে বায়ার ফোর্স মেজারে পদ্ধতিতে গ্যাস নেয়া বৈধ। আর দ্বিতীয় ধাপে (এপ্রিল ২০১০ থেকে অগাস্ট ২০১১) কোম্পানিটি আদান-প্রদান সিস্টেমে ৬ শতাংশ ইন্টারেস্ট পরিশোধ না করলে জালালাবাদ গ্যাসকে ফের টাকা পরিশোধ করতে হতো।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ/ও/সা