আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার |

kidarkar

স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার অভাব ও ব্যাংক ঋণের বোঝা

অসত্য তথ্য ও নথিপত্র ঘটতি,অযোগ্য ম্যানেজমেন্ট: ব্যবসায়িক স্থায়ীত্ব শঙ্কায় আমান ফিড

আতাউর রহমান: শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি আমান ফিডে ব্যবসা পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। সেই সাথে ব্যাংক ঋণের বোঝা এবং উৎপাদন খরচ বাড়ায় ব্যবসায়িক স্থায়ীত্ব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

চলতি বছরের ৩ জুন কোম্পানিটির কারখানা প্রাঙ্গণ ও ৬ জুন প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করে এ সব তথ্য পেয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

একইসঙ্গে কোম্পানির পর্ষদ সদস্য ও ম্যানেজমেন্ট অযোগ্য আর্থিক ও অ-আর্থিক তথ্য প্রকাশের ব্যাপারে উদাসীন এবং পক্ষপাতদুষ্ট। এছাড়া কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে অসত্য তথ্য ও পর্যাপ্ত নথিপত্রে ঘটতি রয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমান ফিডের ম্যানেজমেন্টের ব্যবসা পরিচালনায় ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করে ডিএসই।

কোম্পানিটির এসব অসঙ্গতি ডিএসই প্রতিবেদন আকারে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) পাঠিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে ডিএসই উল্লেখ করেছে, কোম্পানির দ্বারা প্রস্তুতকৃত আর্থিক প্রতিবেদনে অসত্য তথ্য প্রদান করা হয়েছে। কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা এবং বোর্ডের সদস্যরা কোম্পানির আর্থিক ও অ-আর্থিক তথ্য প্রকাশের ব্যাপারে উদাসীন। আর্থিক প্রতিবেদনে পক্ষপাতদুষ্ট এবং অসত্য তথ্য রয়েছে। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নথিপত্রের ঘটতি রয়েছে। সে হিসেবে পরিদর্শন দল মনে করে, আমান ফিডের ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা পরিচালনার অযোগ্য। এদিকে আমান ফিডের ব্যবসা পরিচালনায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার ব্যাপক ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। এক্ষেত্রে কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরি করতে রাজি নয়। পরিদর্শনকালে কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মনোভাব ছিল ধোঁয়াটে এবং অব্যবসায়িক। তারা পরিদর্শক দলকে কোম্পানির প্রকৃত অবস্থার কোনো প্রকার তথ্য না দেওয়ার যথাসম্ভাব্য চেষ্টা করেছেন।

এছাড়া পরিদর্শক দল জানিয়েছে, কোম্পানির প্রচুর পরিমাণ ব্যাংক ঋণের বোঝা রয়েছে। ইতোমধ্যে কোম্পানিটিকে ঋণ খেলাপি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে তারা কাঁচামাল আমদানি করতে পারে না। তারা স্থানীয় উৎস থেকে উচ্চ মূল্যে কাঁচামাল ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে তাদের উৎপাদন খরচ তাদের প্রতিযোগীদের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা তাদের ব্যবসায়িক স্থায়ীত্বকে পতনমুখী করে তুলতে পারে। আর

কোম্পানিটির প্রসপেক্টাসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে আমান ফিডের ঋণ ছিল ৯০ কোটি। কিন্তু ২০২১ সালে ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০ কোটি টাকায়। আইপিওর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৭২ কোটি টাকা। আইপিও তহবিল ও ঋণ নিয়ে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোম্পানিটি কোথায় ব্যবহার করেছে- পরিদর্শক দলের এমন প্রশ্নের উত্তরে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি।

এদিকে প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, কোম্পানি অর্থিক প্রতিবেদনে অতিরঞ্জিত ভাবে ক্রয় বিবরণী তৈরি করেছে। কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য ভ্যাট রিটার্ন অনুযায়ী ক্রয় ছিল ৪৪৩.৯৪ কোটি টাকা। কিন্তু ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদনের ১০৪ নম্বর পৃষ্ঠায় ৫২০.৬৮ কোটি টাকা (কাঁচামাল ৪৯৯.৭৪ কোটি টাকা এবং প্যাকেজিং উপকরণ ২০.৯৪ কোটি টাকা) ক্রয় ছিল বলে উল্লেখ করেছে। ফলে কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে ক্রয় বাবদ ৭৬.৭৪ কোটি টাকা অতিরঞ্জিত করে দেখিয়েছে। এদিকে, কোম্পানিটির ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য ভ্যাট রিটার্ন অনুযায়ী ক্রয় ছিল ৪৭২.৫৪ কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদনের ১০৪ নম্বর পৃষ্ঠায় ৬৬৬.২০ কোটি টাকা (কাঁচামাল ৬৩৭.৯২ কোটি টাকা এবং প্যাকেজিং উপকরণ ২৮.২৭ কোটি টাকা) ক্রয় ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। ফলে কোম্পানিটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে ক্রয় বাবদ ১৯৩.৬৬ কোটি টাকা অতিরঞ্জিত করে দেখিয়েছে। এর ফলে ২০২০ ও ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিট আয় ও শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কম দেখিয়েছে কোম্পানিটি।

একইভাবে বিল্ডিং এবং সিভিল কনস্ট্রাকশনে অতিরিক্ত খরচ হিসেবে কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত ফিক্সড অ্যাসেট রেজিস্টার অনুযায়ী, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অবস্থিত বিল্ডিং ও সিভিল কনস্ট্রাকশনের খরচ হিসেবে ১০০.১৯ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। নুলিপাড়ায় কারখানা পরিদর্শনকালে পরিদর্শক দল একটি পাঁচতলা ভবন, একটি পাওয়ার সাবস্টেশন, চারটি আধা পাকা উৎপাদন ইউনিট এবং ১২টি টিনশেড গুদাম (যার অধিকাংশই আমান সিমেন্ট মিলস থেকে ভাড়ার ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে) দেখতে পায়। এছাড়া প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনকালে পরিদর্শন দল দেখতে পায় যে, আমান ফিড তাদের প্রধান কার্যালয় একটি ভাড়া অফিস নিয়ে পরিচালনা করছে। তবে বিল্ডিং এবং সিভিল কনস্ট্রাকশনের এই খরচ যাচাই করার জন্য কোম্পানিটি পরিদর্শক দলের কাছে প্রয়োজনীয় নথি ও ব্যাংক বিবরণী প্রদান করতে পারেনি। ফলে বিল্ডিং এবং সিভিল কনস্ট্রাকশনের খরচ হিসাবে দেখানো ১০০.১৯ কোটি টাকা বস্তুগতভাবে অতিরিক্ত বলে মনে হচ্ছে। ফলে কোম্পানিটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড (আইএএস) ১ ‘আর্থিক বিবৃতি উপস্থাপনা’ এর অনুচ্ছেদ ১৫ এবং ১৮, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ১৮ এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, ২০১৫ এর রেগুলেশন ৪৫ লঙ্ঘন করেছে।

বিক্রয় অতিমূল্যায় বা অবমূল্যায়ন প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পরিদর্শক দলকে কোম্পানি ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের পৃথক গ্রাহক-ভিত্তিক তথ্য ও প্রাসঙ্গিক ব্যাংকের বিবরণী প্রদান করেনি। ফলে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে বিক্রয় বাবদ উল্লিখিত ৬৫০.২০ কোটি টাকার সত্যতা প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। পরিদর্শক দল মনে করে, আলোচ্য সময়ে বিক্রয় অতিমূল্যায় বা অবমূল্যায়ন করা সম্ভাবনা বেশি রয়েছে কোম্পানিটির। যেহেতু কোম্পানিটি বিক্রয়ের প্রাসঙ্গিক নথিপত্র প্রদান করেনি, সেহেতু ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড (আইএএস) ১ ‘আর্থিক বিবৃতি উপস্থাপনা’ এর অনুচ্ছেদ ১৫ এবং ১৮, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ১৮ এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, ২০১৫ এর রেগুলেশন ৪৫ লঙ্ঘন করেছে।

আার্থিক প্রতিবেদনে অসত্য তথ্য প্রদান প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে আর্থিক বিবরণীর নোট ৬.০৩ অনুসারে, কোম্পানিটি ছয় মাসের বেশি মেয়াদের কোনো বাণিজ্য এবং অন্যান্য প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করেনি। কিন্তু পরিদর্শনকারী দলকে ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে প্রদান করা ট্রেড রিসিভেবল স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, ৬ মাসেরও বেশি মেয়াদের প্রচুর পরিমাণ ট্রেড রিসিভেবল রয়েছে। ফলে কোম্পানিটি অসত্য তথ্য প্রদান করেছে, যা কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর সিডিউল XI এর পার্ট ১, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড (আইএএস) ১ ‘আর্থিক বিবৃতি উপস্থাপনা’ এর অনুচ্ছেদ ১৫ এবং ১৮, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ১৮ এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, ২০১৫ এর রেগুলেশন ৪৫ লঙ্ঘন করেছে।

একইভাবে ম্যানেজমেন্ট কর্তৃ প্রদত্ত আমান ফিডের ঋণ অবস্থার বিবৃতি অনুযায়ী ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের এবি ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ পুনর্নির্ধারণের কোনো তথ্য নেই। কিন্তু, নথিপত্র অনুযায়ী, ‘এবি ব্যাংক লোন সংক্রান্ত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ’ অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৩০ জুন এবি ব্যাংক ঋণসহ তা ঋণ পুননির্ধারণের তথ্য রয়েছে, যা পরবর্তীতে ওই বছরের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত হয়। তাই পরিদর্শক দল মনে করে, কোম্পানিটি স্পষ্টভাবে তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেছে। ফলে কোম্পানিটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড (আইএএস) ১ ‘আর্থিক বিবৃতি উপস্থাপনা’ এর অনুচ্ছেদ ১৫ এবং ১৮, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ১৮ এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, ২০১৫ এর রেগুলেশন ৪৫ লঙ্ঘন করেছে।

আর পরিদর্শন কার্যক্রমে আমান ফিডের অসহযোগিতা প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়, পরিদর্শক দল বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী কোম্পানিটি পরিদর্শন করেছে। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এ কাজে সঠিকভাবে সহযোগিতা করেনি। বিশেষ করে কোম্পানিটি প্রয়োজনীয় অধিকাংশ নথিপত্র প্রদান করেনি৷ যখনই কোনো নথিপত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, তখনই কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট তা সরবরাহ করতে চাচ্ছিলো না। ফলে কোম্পানিটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ২১(২) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, ২০১৫ এর রেগুলেশন ৪৫ লঙ্ঘন করেছে।

এছাড়া আমান ফিড বিএসইসি’র কর্পোরেট গভর্নেন্স কোর্ডের একাধিক শর্ত লঙ্ঘন করেছে বলে পরিদর্শন সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমার ফিডের কোম্পানি সচিব শরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।’

এদিকে ডিএসই’র প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার এ বিষয়ে শেয়ারবাজার নিউজকে বলেন, ‘আমান ফিডসহ আরো বেশকিছু কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ও কারখানা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন সংক্রান্ত প্রতিবেদন আমরা বিএসইসিতে জমা দিয়েছি। বিএসইসি সার্বিক দিক বিবেচনা করে কোম্পানিগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

এর আগে চলতি বছরের গত ২২ এপ্রিল শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে সশরীরে পরিদর্শনের অনুমতি পায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) কর্তৃপক্ষ। ওইসব কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে আমান ফিড। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সশরীরে কোম্পানি পরিদর্শনের অনুমতি দিয়েছে বিএসইসি। এ পরিদর্শন কার্যক্রমে কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতার পাশপাশি কোম্পানিগুলোর উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম যাচাই করা হচ্ছে। এসব কোম্পানিগুলোকে নিয়ে শেয়ারবাজারে অনেক গুজব রয়েছে। তাই ওই গুজবের সত্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য সশরীরে কোম্পানিগুলো পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। এরই ধরাবাহিকতায় চলতি বছরের ৩ জুন কোম্পানিটির কারখানা প্রাঙ্গণ ও ৬ জুন প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

১ টি মতামত “অসত্য তথ্য ও নথিপত্র ঘটতি,অযোগ্য ম্যানেজমেন্ট: ব্যবসায়িক স্থায়ীত্ব শঙ্কায় আমান ফিড”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.