আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ নভেম্বর ২০২১, বুধবার |

kidarkar

বোনাস লভ্যাংশ ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে জমা দেওয়ার নির্দেশ

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও তারল্য সংকট দূর করতে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ বা ‘পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল’র গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফান্ডে ইতোমধ্যে নগদ লভ্যাংশের টাকা জমা দিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো। এবার বোনাস লভ্যাংশ জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, ২৪ নভেম্বর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) চিঠি দেওয়া হয়েছে। ডিএসইকে তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানিতে এই নির্দেশনা দেওয়ার জন্য বলেছে বিএসইসি। একই সাথে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে” (সিএমএসএফ) একটি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব খোলার জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বোনাস লভ্যাংশ বিতরণ হয়নি এমন শেয়ার পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর মধ্যে কোম্পানিগুলোকে ”ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে” (সিএমএসএফ) জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ৩ মে কমিশন সভা করে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। গত ২৭ জুন এ তহবিলের গেজেট প্রকাশ করা হয়।

তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিতরণ না হওয়া প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার লভ্যাংশ নিয়ে এ তহবিল গঠন করা হচ্ছে। এ তহবিলটি পরিচালনার জন্য ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

বিভিন্ন কোম্পানির অবিতরণ করা লভ্যাংশ এবং ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে তিন বছরের অধিক সময় পড়ে থাকা অর্থ-শেয়ার এ তহবিলে স্থানান্তর করা হবে। তিন বছরের হিসাব হবে লভ্যাংশ ঘোষণা বা অনুমোদনের দিন বা রেকর্ড ডেট থেকে। এক্ষেত্রে নগদ লভ্যাংশ বা অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা থাকায় কোনো সুদ অর্জিত হলে, তাও এ তহবিলে দিতে হবে।

তহবিলে শেয়ার বা টাকা হস্তান্তরের পরও তা দাবি করতে পারবেন সংশ্নিষ্ট বিনিয়োগকারী। নিজের দাবির প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ার বা টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

তহবিল থেকে বাজারের তারল্যপ্রবাহ এবং গভীরতা বাড়াতে শেয়ার কেনাবেচা বা ধার দেয়া বা ধার নেয়া হবে। শেয়ার কেনাবেচা করতে গিয়ে যাতে তহবিলের কোনো লোকসান না হয়, তার জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করা হবে, থাকবে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অডিট কমিটি।

৩ উত্তর “বোনাস লভ্যাংশ ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে জমা দেওয়ার নির্দেশ”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.