সরাসরি শেয়ারবাজারের তথ্য না চাইতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সকল মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে সরাসরি তথ্য, উপাত্ত ও প্রতিবেদন না চাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে এ বিষয়ে অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিকষ্ঠানের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে কমিশন।
চলতি বছরের গত ১০ নভেম্বর অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি কর্তৃক পরিচালিত মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও অল্টারনেটিভ ফান্ডের জানুয়ারি থেকে মার্চ,২০২১ পর্যন্ত ৩ মাসের দায় ও সম্পদের তথ্য উপাত্ত চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংককে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে সরাসরি তথ্য, উপাত্ত না চেয়ে বিএসইসির মাধ্যমে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিএসইসি পাঠিয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
বিএসইসির পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক অবহিত করা যাচ্ছে যে, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বাজার মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ন্ত্রক হিসেবে তদারকির দায়িত্ব পালন করে বিএসইসি। দেশের পুঁজিবাজার একটি অতিশয় সংবেদনশীল আর্থিক বাজার। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক মধ্যস্থতারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বা পক্ষের নিকট রক্ষিত অনেক তথ্য মূল্য সংবেদনশীল হতে পারে, যা সিকিউরিটিজ আইন মোতাবেক কমিশনের অনুমোদন ব্যতিরেকে বা অনুমোদিত পন্থা ব্যতিরেকে উক্ত তথ্য, উপাত্ত বা প্রতিবেদন অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট সরবরাহ বা প্রকাশ করা যায় না। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট তথ্যের গোপনীয়তা সংরক্ষণ বিষয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স, ১৯৬৯ এর ধারা ১৯ অনুসরণের বিধান থাকায়, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিএসইসির অনুমতি ব্যতিত উক্তরূপ কোনো তথ্য, উপাত্ত বা প্রতিবেদন সরাসরি সরবরাহ করতে পারে না।”
চিঠিতে আরও উল্লেখ রয়েছে, “পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে কোনো তথ্য, উপাত্ত বা প্রতিবেদন প্রয়োজন হলে বিএসইসির মাধ্যমে তা সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, পুঁজিবাজারের সংবেদনশীলতা বিবেচনায় এবং বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে সরাসরি কোনো তথ্য, উপাত্ত বা প্রতিবেদন চাওয়া থেকে বিরত থাকার বিষয়ে সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসি’র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পুঁজিবাজার অতিশয় সংবেদনশীল। ফলে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট মধ্যস্থতারী প্রতিষ্ঠানের কাছে রক্ষিত তথ্য মূল্য সংবেদনশীল হতে পারে। তাই তাদের কাছ থেকে সরাসরি তথ্য না চেয়ে বিএসইসি’র কাছ থেকে নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জারি করা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আলোচিত নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, পুঁজিবাজার বা তৎসংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয় সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতি জারি করার আগে বিএসইসির সাথে আলোচনা,পরামর্শ ও সমন্বয় করতে হবে। শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য।
আইন অনুযায়ী বিএসসি অনুমতি ব্যতিরেকে অন্য কোন সংস্থা কোন বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসসির সাথে পরামর্শক্রমে একটি শেয়ারবাজারকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করা দায়িত্ব সব কয়টি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা শেয়ারবাজারে সরকার কর্তৃক নিতী সহায়তা করে যাচ্ছে বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয় যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে তাহা লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারী নজরে এসেছে
শেয়ার বাজারে ব্যাংক নির্ভরতা কমাতে বৃহৎ আকারের মিউচুয়াল ফান্ড গঠন করুন। বিগত ১০ বছরে কত কোটি টাকার নতুন কোম্পানি শেয়ার বাজারে যুক্ত হয়েছে আর কয়টি মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে এসেছে। যেখানে এনএভির অর্ধক দামে মিউচুয়ালফান্ডের ইউনিট বিক্রি হচ্ছ সেখানে মিউচুয়াল ফাণ্ডের প্রতি আস্থা ফেরাতে বিএসইসি ব্যর্থ হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের চেয়ে অধিক মুনাফার নিশ্চয়তা দিতে পারলে লক্ষ কোটি
টাকার মিউচুয়াল ফান্ড গঠন সম্ভব। পূর্বে মিউচুয়াল ফান্ডের আইপিও’তেও ১০/১৫ গুণ আবেদন পরেছিল। নির্দেশনা প্রদান করুন কোন মিউচুয়াল ফান্ড ১০% এর কম মুনাফা দিলে কোন পরিচলন ফি নিতে পারবে না এবং এনএভি ফেজ ভ্যালুর বেশি থাকলে প্রয়োজনে পুঞ্জিভুত লভ্যাংশ থেকেও ১০% এর বেশি মুনাফা দিতে পারবে। তাহলেই মিউচুয়াল ফান্ড আপন গতিতে ফিরবে। আর শেয়ার বাজারের গভিরতাও বাড়বে ।
BB has right to control banking system, listed and nonlisted
Who can explain that a share price inlated how many times than past within a short period. What is the fact behind these.
শুধু মিউচুও্যাল ফান্ড করে গেলেই হবে না এর ভিতরে অনেক ফাকিঝুকি আছে , আইন করা উচিৎ মিউচুও্যাল ফান্ডের ৯০% টাকা যেনও শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্টমেন্ট হয়ে তাহ না হবে সঞ্চয়ে ব্যুরো এবং অন্যান্য খাতে মিউচুও্যাল ফান্ড গুলো ইনভেস্টমেন্ট করে যাবে , যাতে এটা না করতে পারে সেই ব্যাপারেই সদা দৃষ্টি রাখার অনুরোধ থাকলো ।