ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
জাতীয় ডেস্ক: ভোলার মেঘনা নদীতে পলি মাটি জমে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। গত প্রায় ৩ মাস ধরে ফেরি চালকরা এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ফলে ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের উভয় পাড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আর এতে দিনের পর দিন পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিরও শেষ নেই।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ভোলার ইলিশাঘাটের ব্যবস্থাপক মো. পারভেজ খান জানান, ভোলার ইলিশাঘাটের নতুন একটি চ্যানেল ও লক্ষ্মীপুরের রহমত খালি চ্যানেলে এই নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
রহমত খালি চ্যানেলে কিছুটা ড্রেজিং থাকলেও তা কোনো কাজে আসছে না। এছাড়া ইলিশাঘাটে নতুন যে ডুবো চরটি জেগে উঠেছে সেটিও ড্রেজিং করার বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
ইলিশা ঘাটের এই কর্মকর্তা আরও জানান, নতুন চরটি ড্রেজিং করার জন্য একাধিকবার বিআইডব্লিউটিসি’র মেরিন বিভাগের ভোলা সহ-ব্যবস্থাপক হারুনর রশীদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতো চিঠি দিয়েও এখন পর্যন্ত এর কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, নদীতে শুধু নাব্যতা সঙ্কটই নয়, রাতে ফেরি চলাচলের জন্যও পর্যাপ্ত বয়াবাতি নেই।
বিআইডব্লিউটিসি’র মেরিন বিভাগের সহ-ব্যবস্থাপক হারুনর রশীদও জানান, চ্যানেলে ড্রেজিং করার দায়িত্ব বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর। ড্রেজিং করার জন্য ড্রেজিং সহকারী প্রকৌশলী রেজা আহমেদকে এবিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা কার্যকর হচ্ছে না।
রেজা আহমেদ জানান, দশদিন আগে ইলিশাঘাটের নতুন চ্যানেলটি সার্ভে করা হয়েছে। নতুন চ্যানেলটিতে ড্রেজিং করে পলি সরিয়ে দিয়ে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা না গেলে বিকল্প পথের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। তবে সেটি কবে নাগাদ দেওয়া হবে তার কোনো সুস্পষ্ট বিষয় তিনি জানাতে পারেননি।
অথচ নদীতে ড্রেজিং করে এই নাব্যতা সংকট দূর করা গেলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় মাটি খনন করে চ্যানেল তৈরি করে না দিলে যেকোনো মুহূর্তে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।