২৫ কোম্পানি এক মাসে ৩০% শেয়ারধারণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা
আতাউর রহমান: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২৫টি কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালক সম্মিলিতভাবে পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে একমাস সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থ হলে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২৫টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে বিষয়টি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটিডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। এ চিঠি জারির তারিখ থেকে একমাস কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলো হলো- সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, রতনপুর স্টিল রি-লোরিং মিলস (আরএসআরএম), প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ফার্মা এইডস, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস, ডেল্টা স্পিনার্স, কাট্টালি টেক্সটাইল, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, আজিজ পাইপস, অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, আলহাজ্জ টেক্সটাইল মিলস, অগ্নি সিস্টেমস, অ্যাডভান্ট ফার্মা, অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফু-ওয়াং ফুডস, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, ফ্যামিলিটেক্স বিডি, ফাইন ফুডস, ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।
চিঠিতে বিএসইসি জানিয়েছে, একাধিক আলোচনা, বৈঠক এবং সতর্কতার পরে, এটি এখনও প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ২০১৯ সালের ২১ মে বিএসইসি’র জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী আপনার কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালক এখনও সম্মিলিতভাবে পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ করেনি। চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মাসিক শেয়ারধারণ পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ফলে আপনার কোম্পানির ২০১৯ সালের ২১ মে বিএসইসি’র জারি করা নির্দেশনা পরিপালন করেনি।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এ পরিস্থিতিতে আপনার কোম্পানিকে আগামী একমাসের মধ্যে সম্মিলিতভাবে পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ২১ মে বিএসইসি’র জারি করা নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন করতে নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায়, ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ এবং পদক্ষেপ নেবে বিএসইসি৷
বিএসইসি’র ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে, সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে অতিরিক্ত দুই জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেবে। যারা ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণের বিষয়টি তদারকি করবে এবং পর্ষদে এক মেয়াদের জন্য থাকবে। আর তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করবে। এছাড়া, অতিরিক্ত নিয়োগকৃত স্বতন্ত্র পরিচালকেরা প্রতি প্রান্তিকের শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেবে। শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এ জাতীয় কোম্পানিগুলো কমিশনের নির্দেশনা জারির পরবর্তী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইব্রিড সিস্টেমে (স্বশরীর বা ডিজিটাল) সাধারণ মিটিং (এজিএম বা ইজিএম) আয়োজন করবে।
এ বিষয়ে বিএসইসি’র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেয়ারবাজার নিউজকে বলেন, ‘সম্মিলিতভাবে পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর এটাই শেষ সুযোগ। এবার তারা ব্যর্থ হলে কমিশন আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
Those companies don’t care about this type of warning. As they know that, BESC will extend time.
আর যেন সময় দেয়া না হয়।
আইএফআইসি ব্যাংকের নাম নেই ককেন?
নর্দান জুট কি আইনের আওতার বাইরে?
নর্দান জুট আইনের আওতার বাইরে কেন?
Mr. Dipankar, you are motivating those companies to do so.
Where Is Apex Weaving & Finishing MillsLtd?
This company’s Directors are only holding a 24% share of the company. This company is now listed on the SME platform. To fulfill the quota The Directors have to purchase an extra 6% share of the company
Please publish their name.
absolutly right decsion
বার বার সময় দিয়ে কি লাভ হচ্ছে ?
এ যাবত কোন কঠোর পদক্ষেপের নমুনা আমাদের চোখে পড়েনি ।
তাই এসব বক্তব্য কেউ কখনোই বিশ্বাস করে না।