বড় ধরণের বাণিজ্য ঘাটতিতে দেশ
এ জেড ভূঁইয়া আনাস: চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আমদানি-রপ্তানির মধ্যে ব্যবধান চূড়ায় উঠছে। অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বাংলাদেশে পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯১০ কোটি (৯.১০ বিলিয়ন) ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিলো ৩৪৯ কোটি ৬০ লাখ (৩.৪৯ বিলিয়ন) ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে ২ হাজার ৩৯০ কোটি (২৩.৯০ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫১ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই চার মাসে ১ হাজার ৫৭৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল।
অন্যদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ১ হাজার ৪৮০ কোটি ১০ লাখ (১৪.৮০ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। এ হিসাবেই অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯১০ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, বৈদেশিক লেনদেনেও চলতি অর্থবছরে ভারসাম্যে বড় ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) লেনদেনের ভারসাম্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৭৬ কোটি ৯০ লাখ (৪.৭৭ বিলিয়ন) ডলারে। গত একমাস আগেও অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৩১ কোটি ৪০ লাখ (২.৩১ বিলিয়ন) ডলার। সে হিসেবে একমাসের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ২৪৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিলো ৩৬৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।
নিয়মিত আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য আয়-ব্যয় চলতি হিসাবের অন্তর্ভুক্ত। এই হিসাব উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়।
এর আগে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি নিয়ে শেষ হয়েছিল গত ২০২০-২১ অর্থবছর। নয় মাস পর্যন্তও (জুলাই-মার্চ) এই সূচক উদ্বৃত্ত ছিল। কিন্তু আমদানি বেড়ে যাওয়ায় এপ্রিল থেকে ঘাটতি (ঋণাত্মক) দেখা দেয়। চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে এই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩৪ কোটি ডলার। অথচ গত বছরের এই চার মাসে উদ্বৃত্ত ছিল ৪১৪ কোটি ১০ লাখ (৪.১৪ বিলিয়ন) ডলার।
Exports are positive and imports are negative. Exports are encouraged and imports are discouraged. Re-exports are important. Imports documents are delayed and exports documents are easier. Now, what we want, those will be reflected. Exports faces various obstacles but imports r not
কেপিটাল মেশিনারিজ যদি বেশী আমদানি হয়, তা’হলে ভাল। অন-উৎপাদনশীল পণ্য যদি বেশী আমদানি হয় তাহলে সরকারের জন্য সমস্যা একটু হতে পারে।
আমাদের বিলাশ-বহুল পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা উচিত।