আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ জানুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

রেমিট্যান্সে নগদ সহায়তা বেড়ে ২.৫ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স বাড়াতে নগদ সহায়তায় আওতা বাড়িয়েছে সরকার। এখন থেকে বিদেশি সংস্থায় কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিদের ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, লিভ সেলারি, বোনাস ও অন্যান্য গ্র্যাচুইটি এবং অবসর সুবিধার অর্থ দেশে আসলে রেমিট্যান্স হিসাবে আড়াই শতাংশ নগদ সহায়তা পাবেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের পাঠিয়েছে।

বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রদান করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রবাসীদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক আয় বৈধ উপায়ে দেশে প্রত্যাবাসন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান হারে রেমিট্যান্স প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেয়ার জন্য কয়েকটি খাত যুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো; পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, লিভ সেলারি, বোনাস ও অন্যান্য গ্র্যাচুইটি এবং অবসর সুবিধা।

>> রেমিট্যান্সের অর্থের আয়ের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে এবং আহরণের সাথে সাথে আবশ্যিকভাবে টাকায় রূপান্তর করতে হবে।

>> এ নির্দেশনা সার্কুলার জারির তারিখ হতেই কার্যকর হবে। রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা সংক্রান্ত পূর্বের ইস্যু করা নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।

এদিকে রেমিট্যান্সের আওতা বাড়ানোর হলেও দীর্ঘ মেয়াদি সুফল আসবে না বলে মন্তব্য করেছে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, রেমিট্যান্সের প্রণোদনা দিলে সবাইকেই দেওয়া উচিত। কারণ কেউ প্রণোদনা পাবে কেউ পাবে না এটা ঠিক নয়। তবে নগদে সহায়তা দিয়ে রেমিট্যান্সের দীর্ঘ মেয়াদি সুফল আসবে না। খোলা বাজারের চেয়ে যদি ব্যাংকের রেটে বেশি পার্থক্য থাকে তাহলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়ানো কঠিন। এ জন্য রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হলে পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করার পাশাপাশি ডলারের দাম সমন্বয় করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ২৩ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময় ছিল ১ হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ২৭০ কোটি ডলার বা ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.