বৃহস্পতিবার সংসদে পাশ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন আইন
শেয়ারবাজার ডেস্ক: করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবার জাতীয় সংসদের অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) শেষ হচ্ছে চলতি অধিবেশন। অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হওয়ায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন পাস হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক আইনটি পাসের জন্য প্রস্তাব করবেন।
জাতীয় সংসদের বৃহস্পতিবারের কার্যসূচিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কার্যসূচিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নিমিত্তে প্রণয়নকল্পে আনীত বিলটি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২) স্থায়ী কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত আকারে অবিলম্বে বিবেচনায় নিয়ে পাসের প্রস্তাব করবেন। পরে বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
তবে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি সংলাপের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওই সংলাপে অংশ নেওয়া ২৫টি দলের প্রায় সবগুলো ইসি গঠনে স্থায়ী সমাধান হিসেবে আইন প্রণয়নের উপর জোর দেয়। এ বিষয়ে সম্মত হন রাষ্ট্রপতি। এই প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করাও হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু বলা হয়, সময়সংকটের কারণে এবার আইন প্রণয়ন সম্ভব হবে না। যদিও সেই অবস্থান পরিবর্তন করে অনেকটা আকস্মিকভাবে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নে কাজ শুরু করে সরকার।
জাতীয় সংসদের সদস্য এবং ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশন গত ১৬ জানুয়ারি শুরু হয়।সংবিধানের বিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম এ অধিবেশনের প্রথম বৈঠকর ওদিন রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। পরদিন সংসদের বৈঠক চলার পর ৫ দিন বিরতি দিয়ে রোববার (২৩ জানুয়ারি) শুরু হয় বৈঠক। এরপর আবারও দুই দিনের বিরতি দিয়ে আজ বুধবার সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীকালের বৈঠকের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ অধিবেশন। সবমিলিয়ে চলতি অধিবেশন পাঁচ কার্যদিবসের চলছে।সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, শুরুতেই চলতি অধিবেশন বেশ কিছুদিন চালানোর জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কয়েক দফায় মুলতবি দিয়ে এ অধিবেশন ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত পরিচালনার চিন্তা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ব্যাপক বিস্তারের কারণে ওই পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনে অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে
একটা আইন কি শুধু সচিবালয় হতে তৈরি করে জনগণের জন্য উপহার দেওয়াই মাননীয় সংসদের কাজ হতে পারে? যারা দেশের জন্যে কাজ করবেন বলে শপথ নিয়েছেন, তারা একটা দলীয় সিদ্ধান্ত কে দেশের আইন বানিয়ে দেশের জন্য লাভ বানাচ্ছেন নাকি ক্ষতি করছেন এটা খুব অল্প বুদ্ধির মানুষ ও বুঝবেন, তবে করতারা কেন বুঝছেন না?