সার্কিট ব্রেকারে মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানি
শেয়া্রবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এগুলো হলো: এলআর গ্লোবাল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, জুট স্পিনিং এবং ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
এলআর গ্লোবাল ওয়ান: ফান্ডটির সার্কিট ব্রেকার সর্বনিম্ন সীমা ছিল ৩.৬০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪.৪০ টাকা। এই দিনে কোম্পানিটির ইউনিট দর সর্বেোচ্চ সীমা ৪.৪০ টাকায় স্পর্শ করাতে তা সার্কিট ব্রেকাররের আওতায় চলে আসে।
আজ ফান্ডটির শেয়ার দর ১০.০০ শতাংশ বা ০.৪০ টাকা বেড়েছে। এই সময় কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.০০ টাকা থেকে ৪.৪০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করে সর্বশেষ ৪.৪০ টাকায় লেনদেন হয়। এ কোম্পানিটির মোট ৫ লাখ ৮ হাজার ১০৯টি ইউনিট ৪৮ বার হাত বদল হয়। যার বাজার মূল্য ২২ লাখ ৮ হাজার টাকা।
ফান্ডটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি।
আজ ফান্ডটির প্রথম প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। প্রতিবেদনে ফান্ডটি মুনাফায় উল্লম্ফন দেখিয়েছে। এর আগের বছর ফান্ডটি লোকসানে ছিল। তাই ইউনিট হোল্ডারদের মাত্র ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে পেরেছিল। তবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রায় ১২ কোটি টাকা মুনাফা করায় এর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ফান্ডটির ইউনিট দর ১০ শতাংশ বা ০.৭০ টাকা বেড়েছে।
আজ ফান্ডটির সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন সীমা ছিল ৬.৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭.৭০ টাকা। তাই ফান্ডটির ইউনিট দর ৭.৭০ টাকায় স্পর্শ করাতে তা সার্কিট ব্রেকাররের আওতায় চলে আসে।
দিনভর ফান্ডটির ইউনিট দর ৭.১০ টাকা থেকে ৭.৭০ টাকায় ওঠানামা করে সর্বশেষ ৭.৭০ টাকায় লেনদেন হয়। এ ফান্ডটির মোট ১ লাখ ৭৪ হাজার ২৬৪টি ইউনিট মোট ৫৯ বার হাত বদল হয়। যার বাজার দর ১৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য ফান্ডটি গত অর্থ বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস বা রি-ইনভেস্টমেন্ট ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল।
ফান্ডটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি।
জুট স্পিনিং: ‘জেড’ ক্যাটাগরির পাট খাতের স্বল্প মূলধনী ও লোকসানি কোম্পানিটি আজ সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করেছে। আজ কোম্পানিটির সার্কিট ব্রেকার সর্বনিম্ন সীমা ছিল ৪২.৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫১.৭০ টাকা। এই দিনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫১.৭০ টাকায় স্পর্শ করাতে তা সার্কিট ব্রেকাররের আওতায় চলে আসে।
আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০ শতাংশ বা ৪.৭০ টাকা বেড়েছে। এদিন কোম্পানিটির প্রথম লেনদেনেই শেয়ার দর ৪ টাকা বেড়ে ৫১.০০ টাকায় লেনদেন হয়। সারাদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫১.০০ টাকা থেকে ৫১.৭০ টাকায় উঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির মোট ৪০৫টি শেয়ার মাত্র ৫ বার হাত বদল হয়। যার বাজার মূল্য ২১ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য গত অর্থ বছরে কোম্পানিটি ৭ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। তাই আলোচিত অর্থ বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটি কোন প্রকার ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি।
এর আগে গত ছয় কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫৪ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। অথচ এ বিষয়ে ডিএসই থেকে কোন নোটিশ পাঠানো হয়নি। এর পরে চলতি সপ্তাহের গত দুই কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫৪ টাকা থেকে কমে ৪৭ টাকায় ঠেকে। আজ আবারো কোম্পানিটির শেয়ারদর কোন কারণ ছাড়াই বাড়ছে। তাই কোম্পানিটির শেয়ারের এমন অস্বাভাবিক আচরণের তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু