আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ জুলাই ২০১৫, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিএসআর খাতে নতুন নির্দেশনা

bangladeshbankশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের বার্ষিক কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) বাজেটের ন্যুনতম ১০ শতাংশ জলবায়ু ঝুঁকি তহবিল হিসেবে বরাদ্দ রাখতে হবে। আর এ জলবায়ু ঝুঁকি তহবিল থেকে ব্যয় সিএসআর ব্যয় হিসেবে দেখানো হবে।

আজ বৃহষ্পতিবার, ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ‘জলবায়ু ঝুঁকি তহবিল’ গঠন সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নির্দেশনায় এমনটি বলা হয়েছে।

এমন নির্দেশনা দেয়ার কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, পরিবেশ বান্ধব ব্যাংকিং বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতায় পরিলক্ষিত হয়েছে যে, জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলের গঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আরো অধিকতর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার প্রয়োজন রয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে, জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলের গঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জলবায়ু ঝুঁকি তহবিল থেকে পরিবেশ পরিস্থিতি অবনমন ও দূষণ রোধ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রশমন ও অভিযোজন, কার্বন নির্গমনের হার হ্রাস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (প্রতিরোধ ও পুনর্বাসন) সংক্রান্ত কার্যক্রমে খরচ করতে পারবে। আর এ তহবিল থেকে অনুদান প্রদান অথবা হ্রাসকৃত সুদে অর্থায়ন- দু’ভাবেই অর্থ ব্যয় করা যাবে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, এ তহবিল থেকে পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ সংক্রান্ত যে কোন ইভেন্ট ও প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করা যাবে। এক্ষেত্রে, স্বল্পমেয়াদি প্রভাবসম্পন্ন কার্যক্রমসমূহ ইভেন্ট হিসেবে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবসম্পন্ন কার্যক্রমসমূহ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে।

নির্দেশনায় তহবিলের অর্থায়নের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, জলবায়ু ঝুঁকি তহবিল থেকে হ্রাসকৃত সুদে অর্থায়নের ক্ষেত্রে যেসকল অর্থায়নের সুদহার সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তহবিল ব্যয়ের ভারিত গড়ের চেয়ে কম হবে, শুধুমাত্র সেসকল অর্থায়নের হ্রাসকৃত সুদ জলবায়ু তহবিল থেকে ব্যয় করা যাবে। এখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শুধুমাত্র নিজস্ব উৎস থেকে হ্রাসকৃত সুদে অর্থায়নের ক্ষেত্রেই এ তহবিল ব্যবহার প্রযোজ্য হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুন:অর্থায়ন সুবিধাপ্রাপ্ত অথবা সরকারি বা আন্তর্জাতিক কোন উৎস থেকে প্রাপ্ত তহবিল থেকে অর্থায়ন এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

আর এ তহবিল ব্যয়ের প্রতিবেদন কোম্পানিগুলোকে ত্রৈমাসিক ও ষান্মাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/আ.হা/ও.সি

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.