আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ জুলাই ২০১৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

ব্যাংকের কাছে জিম্মি বীমা

insuranceশেয়ারবাজার রিপোর্ট: নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ব্যবসা ব্যাংক নির্ভর হয়ে পড়ছে। ফলে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে ব্যাংকের সাথে শর্ত সাপেক্ষে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হচ্ছে বীমা কোম্পানিগুলোকে।

আর শর্ত হিসেবে বীমা কোম্পানি যে ব্যাংকে যত বেশি এফডিআর করে টাকা রাখবে সে ব্যাংকের ব্যবসা তত বেশি পাবে।

এছাড়াও অলিখিত কমিশনতো আছেই। সব মিলিয়ে দিন দিন নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো ব্যাংকের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।

অথচ উন্নত বিশ্বে সরকার অনুমোদিত ব্যাংক-ইন্স্যুরেন্স মডেলের মাধ্যমে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স এক সাথে ব্যবসা করছে। এ জায়গায় ব্যাংক চুক্তির মাধ্যমে বীমা কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরণের কোন উদ্যোগ নেই।

তাই এ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক উদ্যোগ নিলেও আদতে সেটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। মুলত এ বিষয়ে সচেতনতা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বিষয়টি আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে গেছে।

বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক থেকে ক্লায়েন্ট পেতে হলে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোকে অলিখিত শর্ত মানতে হয়। ব্যাংকের তালিকাভুক্ত হতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ন্যুনতম ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা যেকোন বীমা কোম্পানিকে ব্যবসা দিতে পারবে ব্যাংক। আর এ ক্যাটাগরি ব্যাংকই নির্ধারণ করছে। এ সুযোগে ব্যাংকগুলো অলিখিতভাবে পলিসি গ্রাহকদের তাদের নির্ধারিত বীমা কোম্পানিতে পলিসি করেতে বাধ্য করা হয়। ফলে উপায়ান্তর না দেখে সিলেক্টেড বীমা  কোম্পানিতে পলিসি করতে বাধ্য হন।

দেশে ব্যবসা পরিচালনা করা একটি বেসরকারী ব্যাংক এলসি এবং ঋণের বিপরীতে তাদের নির্ধারিত বীমা কোম্পানিতে পলিসি করতে বাধ্য করেন এমন অভিযোগ ওঠেছে। আর এভাবে চাপ প্রয়োগ করে সিলেক্টেড কোম্পানিতে ব্যবসা দেয়া আইনত অবৈধ। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে তালিকাভুক্তির মানে হচ্ছে এসব ব্যাংকে বিনিয়োগ করতে হবে বলে মনে করছেন বীমা সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ম. মাহফুজুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, আমাদের কাছে এ ধরণের কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলেই আমরা বিষয়টি দেখবো।

এ বিষয়ে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র সদস্য মো: কুদ্দুস খান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, একজন গ্রাহক যে কোন বীমা কোম্পানিতে পলিসি করতে পারে। আর এ পলিসি ব্যাংককে গ্রহণ করতে হবে। কারণ বীমা কোম্পানি সরকারের অনুমোদন নিয়েই ব্যবসা করছে। এর বাইরে যদি ব্যাংক যদি কোন বীমা কোম্পানির গ্রাহকের পলিসি গ্রহণ না করে তবে বিষয়টি সম্পুর্ণ অবৈধ।

তিনি আরো বলেন, আমাদের লোকবল কম থাকায় আমরা এখনই কোন পদক্ষেপ নিতে পারছি না। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আলোচনা করা হবে।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/আ.হা/ও/সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.