নাসির গ্রুপের অর্থ পাচার পুনঃঅনুসন্ধানের নির্দেশ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : নাসির গ্রুপের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ পুনরায় অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে ২১ জানুয়ারি (বুধবার) কমিশনের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান এ নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম প্রায় ৮০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও তা পাচারের অভিযোগে নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বিশ্বাসসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেন। অনুসন্ধান প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসিরউদ্দীন মামলার অনুমোদন করেন। পরবর্তী সময়ে এ প্রতিবেদন কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পর্যালোচনা করে আরও অনুসন্ধানের পক্ষে মত দেন। সর্বশেষ কমিশনের চেয়ারম্যান এতে সম্মতি দেন। দুদক সূত্র দ্য রিপোর্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
যাদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করা হয় তারা হলেন- নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বিশ্বাস, জিএম (আমদানি) মো. আলফাজ উদ্দিন, জিএম (মার্কেটিং এ্যান্ড সেলস) মো. শামীম আহম্মেদ, জিএম (ফাইন্যান্স ও হিসাব) মো. সিদ্দিকুর রহমান, এজিএম (ক্রয়) মো. মোবাইদুল ইসলাম, ক্যাশিয়ার মো. শামীম, এজে মানি চেঞ্জারের মালিক সাইদুল ইসলাম, কর্মচারী মো. এমদাদুল, রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের সোহাগ কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে ২ নম্বর ভবনের ১১০২ নম্বর ফ্ল্যাটের আদিল আহমেদ ও একই ফ্ল্যাটের ফিরোজ আহমেদ।
দুদক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নাসির গ্রুপের প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রিজের নামে আমদানি করা পণ্যের প্রতিটি এলসির বিপরীতে বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলার হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হয়েছে। এ গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রায় ৮০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি ও তা অবৈধভাবে পাচারের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সুইজারল্যান্ড, হংকং ও চীনে ৮৫ হাজার মার্কিন ডলার পাচারের প্রমাণ দুদকের হাতে রয়েছে। বাকি টাকা দেশের ভিতরে নীতি বহির্ভূতভাবে লেনদেন করেছেন।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর নাসির উদ্দিন বিশ্বাসসহ তার প্রতিষ্ঠানের ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও তারা দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হননি। তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক মাস সময়ের আবেদন করেছেন। এ ছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নাসির উদ্দিনের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এ ছাড়া দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়াসহ জালিয়াতির প্রমাণ নষ্টের শঙ্কায় নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তিনটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম এ অভিযোগ অনুসন্ধান করেছেন।