আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৫ জুলাই ২০১৫, বুধবার |

kidarkar

১০ কোম্পানির প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ

Arthik Protibadon Reportশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ৪ কার্যদিবসে প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানি। প্রতিবেদন অনুযায়ী মুনাফা বেড়েছে ৮ টির এবং  কমেছে ২ কোম্পানির। এগুলো হলো: রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, সামিট পাওয়ার, সামিট পূর্বাঞ্চল, এমবিএল ফার্স ফান্ড, এসিআই ফরমুলেশন, এসিআই লিমিটেড, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক ফান্ড এবং এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স: অর্ধবার্ষিকে (জানুয়ারি-জুন ১৫) রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ১৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৩১ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১৪ কোটি ৮০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ২.০৪ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ইপিএস বেড়েছে ০.২৭ টাকা।

এদিকে গত তিন মাসে (এপ্রিল-জুন ১৫) এ কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০২ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল কোটি ৫ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ০.৭৭ টাকা।

বিএসআরএম লিমিটেড

অর্ধবার্ষিকে (জানুয়ারি-জুন ১৫) বিএসআরএম লিমিটেডের কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ১৮ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০৮ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৩ কোটি ১৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ০.২০ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ১৫ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ইপিএস বেড়েছে ০.৮৮ টাকা।

এদিকে গত তিন মাসে (এপ্রিল-জুন ১৫) এ কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৮ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে লোকসানের পরিমাণ ছিল কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ০.০৫ টাকা।

বিএসআরএম স্টিল

অর্ধবার্ষিকে (জানুয়ারি-জুন ১৫) বিএসআরএম স্টিলের কর পরিশোধের পর সমন্বিত মুনাফা (excluding non controlling interest) হয়েছে ১০৫ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.০৯ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৮১ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ২.৩৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ২৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং ইপিএস বেড়েছে ০.৭০ টাকা।

এদিকে গত তিন মাসে (এপ্রিল-জুন ১৫) এ কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর মুনাফা (excluding non controlling interest) হয়েছে ৭৫ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.২০ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল কোটি ৪১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং ইপিএস ছিল ১.২১ টাকা।

সামিট পাওয়ার

অর্ধবার্ষিকে (জানুয়ারি-জুন ১৫) সামিট পূর্বাঞ্চলের কর পরিশোধের পর সমন্বিত মুনাফা (excluding non controlling interest) হয়েছে ১৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.০২ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১২০ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ১.৬৭ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৩৫ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বা ২৯.৮৬ শতাংশ।

এদিকে গত তিন মাসে (এপ্রিল-জুন ১৫) এ কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর মুনাফা (excluding non controlling interest) হয়েছে ৮৬ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.১২ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল কোটি ৬৯ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ০.৯৭ টাকা।

সামিট পূর্বাঞ্চল

অর্ধবার্ষিকে (জানুয়ারি-জুন ১৫) সামিট পূর্বাঞ্চলের কর পরিশোধের পর  মুনাফা হয়েছে ৪৩ কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৮৩ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৩৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ২.২৬ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৮ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা বা ২৪.৯৭ শতাংশ।

এদিকে গত তিন মাসে (এপ্রিল-জুন ১৫) এ কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ২০ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৩৪ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল কোটি ১৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং ইপিএস ছিল ২.২১ টাকা।

এমবিএল ফার্স্ট ফান্ড

প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত (এপ্রিল-জুন ১৫) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের এমবিএল ফার্স ফান্ড। প্রতিবেদন অনুযায়ী মুনাফায় ফিরেছে ফান্ডটি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, প্রথম প্রান্তিকে এমবিএল ফার্স্ট ফান্ডের কর পরিশোধের পর সমিন্বত মুনাফা হয়েছে ১২ কোটি ৬৯ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ইউনিট প্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ১.২৭ টাকা। যা আগের বছরে লোকসান ছিল যথাক্রমে ৮৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ০.০৯ টাকা।

এসিআই ফরমুলেশন

অর্ধবার্ষিকে (জানুয়ারি-জুন ১৫) এসিআই ফরমুলেশনের কর পরিশোধের পর সমিন্বত মুনাফা (excluding non controlling interest) হয়েছে ৭ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৫৯ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৭ কোটি ৫৮ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ১.৬৮ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে ৪২ লাখ ৭০ হাজার টাকা বা ৫.৬৩ শতাংশ।

এদিকে গত তিন মাসে (এপ্রিল-জুন ১৫) এ কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর সমন্বিত লোকসান হয়েছে ৫২ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত লোকসান ০.১২ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে মুনাফা ছিল ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ০.১১ টাকা।

এসিআই

অর্ধবার্ষিকে (জানুয়ারি-জুন ১৫) এসিআই লিমিটেডের কর পরিশোধের পর সমিন্বত মুনাফা হয়েছে ২৩৯ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০.২৮ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১৫ কোটি ৮৩ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ৪.০১ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ২২৪ কোটি ৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বা ১ হাজার ৪১৫. ৩৬ শতাংশ এবং ইপিএস বেড়েছে ৫৬.২৭ টাকা।

এদিকে গত তিন মাসে এ কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর সমন্বিত মুনাফা হয়েছে ২৩১ কোটি ৯৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৮.৩০ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ১১ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ইপিএস হয়েছে ২.৮৬ টাকা।

জানা যায়, এসিআই লিমিটেডের বড় ধরনের মুনাফা অর্জনের অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যান্ড বিক্রি। নিজেদের সেরা তিনটি ব্র্যান্ড ২৫০ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে কোম্পানিটি।  বিক্রি হওয়া ব্র্যান্ড তিনটি হলো— এসিআই ইনসেক্টিসাইডস, এ্যানজেলিক এয়ার কেয়ার ও ভ্যানিশ টয়লেট ক্লিনার। আর এ ব্র্যান্ডগুলো কিনে নিয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গৃহস্থালি সামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসসি জনসন এ্যান্ড সন্স কোম্পানি।

আগামী পাঁচ বছর পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে এ সব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করবে এসিআই ও জনসন। মূলত ব্র্যান্ড বিক্রির কারণে আয়ের ক্ষেত্রে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে কোম্পানিটির।

তবে ব্যান্ড বিক্রির মাধ্যমে আয়ের এ বড় ধরণের হিসাব বাদ দিলে প্রথম ৬ মাসে এসিআইয়ের শেয়ার প্রতি আয়ের (ইপিএস) পরিমাণ হচ্ছে ৭.০৪ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৭৫.৫৬ শতাংশ।

এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ ফান্ড ওয়ান

তৃতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর ১৪-জুন ১৫) এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের মুনাফা হয়েছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.৩০ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ১৪ কোটি ৮১ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় ছিল ০.৪৮ টাকা। সে হিসেবে ফান্ডটির মুনাফা কমেছে ৫ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এদিকে গত তিন মাসে (এপ্রিল-জুন ১৫) এ ফান্ডটির মুনাফা হয়েছে ১৯ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.৬৪ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে লোকসান ছিল ৯ কোটি ৩৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ০.৩০ টাকা।

এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক ফান্ড

প্রথম প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ১৫) এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক ফান্ডের মুনাফা হয়েছে ১১ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ১.১৯ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে লোকসান ছিল ১ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ০.১৪ টাকা। সে হিসেবে ফান্ডটির মুনাফা হয়েছে ১৩ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.