সামনে সুদিন দেখছি : মারুফ মতিন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: আইনগতভাবে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ ডি-মিউচ্যুয়ালাইজড হলেও তা এখনো পুরোপুরিভাবে কার্যকর হয়নি। যেমন স্বাধীন পরিচালকের নিয়োগ সম্ভব হলেও প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার ও মেম্বারদের মধ্যে এখনও পার্থক্য তৈরি করা যায়নি। এছাড়াও বাকী রয়েছে অনেক আনুষঙ্গিক কাজ। পুরো ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন বাস্তবায়ন করতে এখনও অনেকদূর যেতে হবে। সামনের বছর আমরা বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশকিছু নতুন সুবিধা নিয়ে আসব। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ইটিএফ ফান্ড। এছাড়াও স্মল ক্যাপ সেগমেন্ট এবং ডেরিভেটিভ মার্কেট চালু করার ব্যাপারেও কাজ করা হচ্ছে। এটি নিয়ে প্রচুর কাজ করতে হবে। সে প্রস্তুতিও চলছে।
তাই বিনিয়োগকারীরা বাজার ছেড়ে যাবেন না। খুব শিগগিরই হয়তো ভালো সময় আসবে, সে রকমই সাইন দেখতে পাচ্ছি।বাজারের পরিবেশই এখন বলে দিচ্ছে সামনে সুদিন। শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমের সাথে এক একান্ত সাক্ষাতকারে একথাগুলো বলেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন। সম্পূর্ণ সাক্ষাতকারটির চুম্বক অংশ বুলেটিনের পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো:
শেয়ারবাজারনিউজ: ব্যাংকগুলোর এক্সেপোজারের সময় বাড়ানোর জন্য মোটামুটি সবাই আন্তরিকতা দেখাচ্ছে। আপনি কি মনে করেন সময় বাড়ানো হলে বাজার ভালো হবে?
ওয়ালি-উল-মারুফ: মার্কেটের বড় প্লেয়ার হচ্ছে ব্যাংকগুলো। তাদের অধিকাংশেরই নিজস্ব ব্রোকারেজ হাউজ আছে। অথবা দেখা যাচ্ছে নিজেদেরই সাবসিডিয়ারি মার্চেন্ট ব্যাংক আছে। এখন এ বড় প্লেয়ারগুলোই যদি বিনিয়োগে পিছিয়ে যায় তাহলে তা বাজারের জন্য সুখকর হবে না। দেখা যাচ্ছে বাজার মূলধনের প্রায় ২৩ শতাংশ রয়েছে ব্যাংকগুলোর।
অন্যদিকে ব্যাংকগুলোকে যদি হঠাৎ করেই এভাবে বিনিয়োগ কমিয়ে ফেলতে বলা হয় তাহলে তো তা বাজারের জন্য ভাল হবে না। মনে হতে পারে এক বছর হয়তো অনেক দিন সময়। কিন্তু বাজারের বর্তমান অবস্থা আর ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমানের কথা চিন্তা করলে বোঝা যাবে যে এ সময়টা আসলে অনেক বেশি সময় না। এর চাইতে যদি ব্যাংকগুলোকে ক্রমান্বয়ে বিনিয়োগ কমিয়ে আনতে বলা হতো তাহলে ভালো হতো।
পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ নির্দিষ্ট সীমায় নামিয়ে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, এই সময় আরো বাড়িয়ে দিলে তা মার্কেটের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
শেয়ারবাজারনিউজ: মার্জিন রুলস,১৯৯৯ এর রুলস ৩(৫) এর কার্যকারিতা দুই বছর ধরে স্থগিত রয়েছে। এর সময় আবারো ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এটা বাজারের জন্য কতটুকু ইতিবাচক?
ওয়ালি-উল-মারুফ: মার্জিন রুলসের যে সাসপেনশনটা বাড়ানো হল তা আর না বাড়ানোই উচিৎ বলে আমার মনে হয়। এর পাশাপাশি ব্রোকার ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোটাই বাজারের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। এটা এখানেই শেষ করা দরকার।
শেয়ারবাজারনিউজ: ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন হওয়ার পর মার্কেট কতদূর এগিয়েছে?
ওয়ালি-উল-মারুফ: আমরা এখনও গত বছর কার্যকর হওয়া ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। আইনগতভাবে উভয় স্টকএক্সচেঞ্জ ডি-মিউচ্যুয়ালাইজড হলেও কার্যকর পুরোপুরি হয়নি। যেমন স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ দেয়া হলেও শেয়ারহোল্ডার ও মেম্বারদের মধ্যে এখনও পার্থক্য তৈরি করা যায়নি। এছাড়াও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজও সম্পন্ন হয়নি। পুরো ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন বাস্তবায়ন করতে এখনও অনেকদূর যেতে হবে।
শেয়ারবাজারনিউজ: সামনে বাজারের জন্য কি আসছে?
ওয়ালি-উল-মারুফ: সামনের বছর আমরা বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশকিছু নতুন সুবিধা নিয়ে আসব। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ইটিএফ ফান্ড। এছাড়াও স্মল ক্যাপ সেগমেন্ট এবং ডেরিভেটিভ মার্কেট চালু করার ব্যাপারেও কাজ করা হচ্ছে। এটি নিয়ে প্রচুর কাজ করতে হবে। সে প্রস্তুতিই চলছে।
শেয়ারবাজারনিউজ: আইপিওতে ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ শতাংশ কোটার মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে। এর মেয়াদ আরো বাড়ানোর জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা অর্থ মন্ত্রনালয়কে জানিয়েছে। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি?
ওয়ালি-উল-মারুফ: আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি আইপিওতে কোটা সুবিধা থাকা ঠিক না। কারন এটা বিনিয়োগকারীদের একটা রং সিগন্যাল দেয়। আমরা প্রথমেই মনে করে নিচ্ছি যে আইপিওতে কোম্পানি আসলেই তার শেয়ার দর বাড়বে। আর যারা আইপিও পাবেন তারা বেশকিছু টাকা লাভ নিয়ে বের হয়ে যেতে পারবেন। তার মানে আমরা আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোর দরকে একটা অন্যরকম গুরুত্ব দিচ্ছি। এটা বাজারের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভাল কিছু দেবে না।
শেয়ারবাজারনিউজ: ধারণা রয়েছে যে আইপিওতে বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হচ্ছে। এ বিষয়ে যদি কিছু বলতেন।
ওয়ালি-উল-মারুফ: যেহেতু এটা এখনও প্রমাণ করা যায়নি যে একটা বিশেষ গোষ্ঠী আসলে কারা তাই এ ব্যাপারে বলা যাচ্ছে না। তবে আইপিওতে কোনো কোম্পানি আসার সাথে সাথেই তাকে কোনো ধরনের প্রিভিলেজ দেয়াটা ঠিক না। আর তাই আইপিও কোটা না থাকা উচিৎ বলে আমার মনে হয়।
শেয়ারবাজারনিউজ: ক্ষতিগ্রস্ত অনেক বিনিয়োগকারী তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও পুন:অর্থায়নের সুবিধা ভোগ করতে পারেননি। আবার অনেকে ইচ্ছা করেই পুনঃঅর্থায়নের টাকা নিতে চাননি। বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?
ওয়ালি-উল-মারুফ: কে টাকা নেবে বা কে নেবে না সেটা ঠিক করা স্টক ব্রোকারদের কাজ না। বিনিয়োগকারীরা যা বলবেন ব্রোকাররা তাই করতে বাধ্য। এ বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তাদের ওপর ছেড়ে দেয়াটাই ভাল। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো কিছু ক্ষেত্রে পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট করতে গিয়ে বিনিয়োগকারীদের অ্যাডভাইস দিয়ে থাকেন। তারা এ বিষয়টি ঠিক করলেই ভাল হয়।
তবে এটি স্পষ্ট যে, যেহেতু অনেকেই নিচ্ছেন না আবার অনেকেই পাচ্ছেন না্। তাই বলা যায় পুরো প্রক্রিয়াটি আসলে বাস্তবসম্মত না। তা না হলে এমন হত না।
শেয়ারবাজারনিউজ: ২০১০-১১ অর্থবছরে বাজারে ধস নামার পর থেকে এ পর্যন্ত অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ভালো খবরেই বাজারে দুই চারদিনের বেশি ভালো অবস্থায় থাকে না। এর কারণটা আসলে কি? বাজার কি স্থিতিশীল হবে না?
ওয়ালি-উল-মারুফ: আসলে বাজারকে এভাবে জোর করে ভালো বা স্থিতিশীল করা যায় না। আর দীর্ঘ মেয়াদে তা ভালো কোনো কিছু এনেও দেয় না। ১৯৯৬ থেকে দেখেন, বাজার ধ্বসের পরও ২০১১ তে যে অবস্থায় ছিল তা ১৯৯৬ সালের সেই বাবলের তুলনায় বেশি। এর অর্থ বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমবর্ধনশীল। বাজারের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভালো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তা ভালো হবে।
আর অর্থনীতির আকার বাড়লে তা শেয়ারবাজারের জন্যও সম্ভাবনা বাড়াবে। এখন আমদের যা করা উচিৎ তা হল, তথ্যের সরবরাহ নিশ্চিত রাখা। বাজারে তথ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে বিনিয়োগকারীরাই বাজারে জেনে বুঝে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এটাই বাজারে ক্রমান্বয়ে স্থিতিশীলতা আনতে পারবে।
শেয়ারবাজারনিউজ: সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রীসের অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়টি বেশ আলোড়ন তুলেছে। এর কোনো প্রভাব আমাদের শেয়ারবাজারে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে?
ওয়ালি-উল-মারুফ: এটি আসলে বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমি ব্যাক্তিগতভাবে বিষটি একাডেমিক আগ্রহ থেকেই নজরে রাখছি। আমার মনে হয় অন্তত জার্মানি ও ফ্রান্স গ্রীসের গনভোটের এমন ফল আশা করেনি। ঐতিহাসিকভাবে গ্রীস গনতন্ত্র ও অর্থনীতির সূতিকাগার। এমন একটা দেশে ফ্রি মার্কেট ইকোনমি তত্ত্ব খাটবে না এটা অনেকেই চিন্তা করেনি।
তবে এর প্রভাব এ দেশে পড়ার আশঙ্কা এখনই নেই। কারন দেশে বিদেশী বিনিয়োগ অত বেশি পরিমানে নেই। তবে গ্রীসের ইউরো এক্জিট করলে এবং ইউরোজোন থেকে বের হয়ে গেলেও ভৌগোলিকভাবে তো ইউরোপেই থাকবে। এ কারণে ইউরো মুদ্রার ওপর চাপ আসতে পারে। এ কারনে ইউরোপের বড় বেশকিছু শেয়ারবাজারে হয়তো বড় ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড বা ইংল্যান্ড নিজেদের দেশে ইউরো চালু না করায় তারা হয়তো এমন সমস্যা এড়িয়ে যেতে পারবে। আমাদের এ ধরনের সমস্যার আশঙ্কা না থাকায় আমাদের আগে ঘর গোছানোর চিন্তা করা উচিৎ। আমাদের অর্থনীতির বিশাল সম্ভবনা রয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ: সম্প্রতি বাজেট ঘোষনা হয়েছে। পুঁজিবাজারের জন্য এ বাজেট কতটা সহায়ক?
ওয়ালি-উল-মারুফ: শেয়ারবাজারের জন্য এবারের বাজেট খারাপ হয়নি। যেমন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য কর কমানোর বিষয়টি।
কিন্তু সমস্যা থেকে গেছে আসলে মূল যায়গাটাতে। থিওরেটিকালি আমরা ধরেই নিচ্ছি কোম্পানিগুলো যে আর্থিক প্রতিবদেন জমা দেয় তা সম্পূর্ণ ঠিক। কিন্তু তা নিয়ে প্রশ্ণ থেকেই যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যদি আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যেত তাহলে তা পূর্নাঙ্গভাবে একটা ভালো ফল নিয়ে আসতে পারতো।
বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য বেশকিছু ইনসেনটিভ এসেছে কিন্তু সমন্বয়ের আরও যায়গা আছে। যেমন পুরো ব্যাপারটাতেই গুনগত যায়গায় আরও কাজ করা যেত। কোয়ানটিটিভ বা পরিমাণগত পরিসর যথেষ্ট বাড়ানো হলেও কোয়ালিটিভ বা গুনগত যায়গায় সমন্বয়ের ব্যাপারটি সম্পন্ন করা যায়নি। ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট বাস্তবায়ন করা গেলে গুনগত দিকটা ঠিক রাখা যেত।
শেয়ারবাজারনিউজ: দশ বছর হতে চললো ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টি অ্যাক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ বিষয়ে কিছু বলুন।
ওয়ালি-উল-মারুফ: আমি যতটুকু জানি ২০০৫ সালে প্রথম এফআরএ নিয়ে আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর প্রায় ১০ বছর ধরে আইন না হবার ফলে অনেকেই এ নিয়ে শঙ্কিত। এমনকি দেশি বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এ নিয়ে সন্দিহান যে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো কতটা স্বচ্ছ আর্থিক প্রতিবেদন দেয়। খরচ কিছুটা বাড়লেও গভর্নেন্স ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হলে এ আইনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর মধ্যে আরেকটি সমস্যা হয়েছে চাটার্টড অ্যাকাউন্টেন্ট ও কস্ট অ্যাকাউন্টেন্টদের এ ব্যাপারে দেয়া প্রস্তাবনা নিয়ে। দেখা গেছে দুটি সংগঠনের মধ্যে প্রস্তাবনা নিয়ে বেশ কিছুটা দূরত্ব থেকে গেছে। এটিও আইন না হবার পেছনে আরেকটি কারণ বলে ধরে নেয়া যায়।
তবে বাজারে বিনিয়োগকে তথ্যও ও জবাবদিহিতার আওতায় না আনতে পারলে শঙ্কা থেকেই যাবে। এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার আন্তরিকতাও প্রশ্নের মুখে পড়বে।
শেয়ারবাজারনিউজ: সামনে ঈদ। বিনিয়োগকারীদের উদেশ্যে কিছু বলুন।
ওয়ালি-উল-মারুফ: ঈদ দেশের মানুষের একটি খুশির মৌসুম। সব বিনিয়োগকারীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর এর সাথে সাথে বলব, আমাদের সাথে থাকুন বাজারের সাথে থাকুন। বাজার ছেড়ে যাবেন না। খুব শিগগিরই হয়তো ভালো সময় আসবে, সে রকমই সাইন দেখতে পাচ্ছি।
আমাদের অর্থনীতির যে গতি তাতে বাজার ভালো হবেই। আর বিনিয়োগ করার ব্যাপারে বলব, অনেকেই আছেন যারা ধৈর্য রেখে বিনিয়োগ করতে পারেন, আবার অনেকেই অল্প সময়ের মধ্যেই লাভ বের করে নিয়ে যেতে চান। সবার আগে এ চিন্তা করা উচিৎ আপনি কতটুকু ঝুঁকি নিতে পারবেন। সেটা বিবেচনা করেই বিনিয়োগ করা শ্রেয়।
আর এবার ঈদে কতটা আয় বা সম্পদ তৈরী হয়েছে বলতে পারবো না, তবে বাজার ভালো হবে। আপনারা সম্পদ তৈরী করতে পারলেই নিজের ও পরিবার পরিজনের জন্য খরচ করতে পারবেন। ঈদের পর আশা করি সে রকম সুযোগ তৈরী হবে।
সবাইকে ঈদ মোবারক।
শেয়ারবাজারনিউজ/সা/মু