শেয়ারবাজা রিপোর্ট: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ঈদ পূর্ববর্তী ৩ কার্যদিবস এবং পরবর্তী ৩ কার্যদিবস মোট ৬ কার্যদিবসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবনতায় বিরাজ করে। ঈদ পূর্ববর্তী ৩ কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেনে ছিলো ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এবং ঈদ পরবর্তী ৩ কার্যদিবসে লেনদেন বেড়েছে ১.২৯ গুণ। যার পরিমাণ ২ হাজার ২১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। লেনদেনের এ ক্রমবৃদ্ধির ফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ঈদ পূর্ববর্তী লেনদেন হওয়া শেষ ৩ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে সূচকে উত্থানে শেষ হয় লেনদেন। এর ফলে আলোচিত সময়ে সূচক বেড়েছে ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৬৬৫ পয়েন্টে।

অন্যদিকে,  ঈদ পরবর্তী লেনদেন হওয়া শেষ ৩ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে সূচকে উত্থানে শেষ হয় লেনদেন। এর ফলে আলোচিত সময়ে সূচক বেড়েছে ১৫১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৮০৮ পয়েন্টে। সে হিসাবে ঈদ পরবর্তী ৩ কার্যদিবসে ডিএসইতে সূচক বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ।

সংশ্লিষ্টদের মতে, পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতন রোধে সম্প্রতি সরকারি হস্তক্ষেপের ঘোষণায় বিনিয়োগকারীরা আশ্বস্ত হয় এবং বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়। ফলে ধীরে ধীরে লেনদেন বাড়তে থাকে। পাশাপাশি সরকারের নেয়া প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার পর বাজারে মিশ্র ভাব দেখা দেয়। এই মিশ্র পরিস্থিতি হওয়া সত্ত্বেও লেনদেন বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে হারানো আস্থা ফিরে পাচ্ছেন। তাই পুঁজিবাজার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে সেই প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিনিয়োগের আগ্রহ বেড়েছে। এছাড়া বিপর্যয়ের সময় বাজারবিমুখ বিনিয়োগকারীরা নতুন আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। এ কারণে লেনদেন বেড়েছে বলে মনে করছেন তারা।

একটি সিকিউরিটিজ হাউজের এক কর্মকর্তা বলেন, পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠনিক বিনিয়োগকারীর তুলনায় অনেক বেশি লেনদেন করেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তিনি আরো বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এখন আগের চেয়ে অনেক সক্রিয় এবং তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসায় আস্থা সংকট কাটতে শুরু করেছে এবং ধীরে ধীরে তারা হাউজমুখীও হচ্ছেন। আর কিছুদিন আগ পর্যন্তও বিনিয়োগকারীদের অনুপস্থিতিতে নিষ্প্রাণ ছিল সিকিরিউটিজ হাউজগুলো যেখানে এখন নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হচ্ছে। যে কারণে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সবাই আশাবাদী হয়ে উঠছেন।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু/সা