ব্রাজিলের গম বিতরণে নিষেধাজ্ঞা
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
হাইকোর্টের দেওয়া এই পর্যবেক্ষণে চেম্বার বিচারপতি যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন তার মেয়াদ আরো দুই সপ্তাহ বাড়িয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিল দায়েরের নির্দেশনাও দিয়েছেন আদালত।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ওই রায় ২৬ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে শুনানির জন্য নিযমিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
ওই দিন আদালতে শুনানি শেষে মাহবুবে আলম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ব্রাজিলের গম নিয়ে হাইকোর্টের রায় সাংঘর্ষিক ও বিপরীতমুখী। একই সঙ্গে আদালত রিট আবেদনের কোনো সারবত্তা না পেয়ে তা নিষ্পত্তি করেছেন, আবার গম নিতে বাধ্য করা যাবে না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, মানুষের কাছে সরকার ও একটি মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশে এই রিট আবেদনটি করা হয়েছে।
ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম আমদানিতে দুর্নীতির অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে খতিয়ে দেখার নির্দেশনা চেয়ে গত ২৯ জুন জনস্বার্থে এ রিট আবেদনটি করা হয়। আবেদনের পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও আইনজীবী এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এরপর রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট আদেশে বলেন, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের মধ্যে যে অংশ ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে, তা থেকে কেউ ফেরত দিতে চাইলে সরকারকে ফেরত নিতে হবে। আর এখনো বিতরণ না হওয়া গম যদি কেউ নিতে না চায়, তবে তাকে জোর করে দেওয়া যাবে না। তবে ওই গম যে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের অংশ, এটা নিশ্চিত হতে হবে।
আদেশে আদালত আরও বলেন, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম গবেষণাগারে পরীক্ষার যতগুলো প্রতিবেদন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আদালতকে দিয়েছেন, তার একটিতেও বলা হয়নি এ গম খাওয়ার অনুপযোগী। যদিও এ গমের বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা করে এতে জীবন্ত পোকা বা কীটের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তারপরও আমদানি করা এ গমের একটি বিশাল অংশ ইতিমধ্যে সারা দেশে বিতরণ করা হয়েছে এবং এ গম খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে গেছেন এমন কোনো ঘটনা জানা যায়নি।