আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ অগাস্ট ২০১৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

শিগগিরই পাস হচ্ছে ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি আইন

Financial_Institun_sharebazar_news_1শেয়ারবাজার রিপোর্ট: শিগগিরই পাস হচ্ছে বহুল আলোচত ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি আইন-২০১৪। সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে খসড়া আইনটি মন্ত্রীসভা হয়ে জাতীয় সংসদে ওঠার অপেক্ষায় আছে। কেন্দ্রিয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৩২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিধিমালা-১৯৯৪ কার্যকর রয়েছে। আইনটি সংস্কার করে সময়োপযোগী করার দাবি বহুদিনের। আর এর প্রেক্ষিতে ২০১৩ সাল থেকে ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি আইনটি নতুন করে সংস্কার করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। কিন্তু বারবার হচ্ছে-হবে করেও বিভিন্ন কারণে এখন পর্যন্ত আইনটি আলোর মুখ দেখেনি। তবে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ায় চূড়ান্তভাবে আইনটি এবার জাতীয় সংসদে উঠবে বলে আশাবদি হচ্ছে কেন্দ্রিয় ব্যাংক।

কেন্দ্রিয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ঋণ প্রদান, নগদ তহবিল ও তরল সম্পদ সংরক্ষণ,পরিচালক নিয়োগ,পরিচালকদের শেয়ার ধারণ. মিথ্যা তথ্য প্রদানে কঠোর শাস্তি প্রদানের বিধান রেখে তৈরি হচ্ছে ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি আইন। ইতিমধ্যে এই আইনটি সর্বমোট ১০৩টি ধারার সঙ্গে প্রায় ৩০০টি উপধারা সংযোজন করে প্রস্তাবাকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যেমে আগের আইনটি আরও কঠোর হবে এবং কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে। পাশাপাশি নতুন আইনের অধীনে লিজিং ফাইন্যান্স কোম্পানির ব্যবসার আরও প্রসার ঘটবে।

অন্যদিকে, আইনের খসড়া করার সময় প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ) ব্যাংক কোম্পানির অনুরুপ আইনের দাবি জানিয়েছিল। ব্যাংক কোম্পানি আইন (সংশোধিত)- ২০১৩ অনুযায়ি, ব্যাংক কোম্পানিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ব্যাপারে যে প্রতিবন্ধকতা আছে, তার সদৃশ আইনের দাবি জানিয়েছে বিএলএফসিএ। বিএলএফসিএ সূত্রে জানা যায়, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার ধরনের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ট্রেড ইউনিয়নের ব্যাপারটি আলাদাভাবে উল্লেখ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এছাড়াও আইনের খসড়ার আরও বলা হয়েছে, এ আইনের অধীনে গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, আদেশ বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ১৯৯৪ সালের আইনের ৩ ধারা অধীনে এখতিয়ারভুক্ত কোনো আদালত ব্যতিত অন্য কোনো আদালত বা ট্রাইবুনালে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

আলোচিত এ আইনের নিয়ে গড়িমসির ব্যাপারে বিএলএফসিএ’র প্রেসিডেন্ট আসাদ খান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানান, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে এ ব্যাপার নিয়ে আমাদের আলোচনা হচ্ছে চার বছর আগে থেকে। সর্বশেষ যতটুকু জেনেছিলাম, আইনের খসড়া অনুমোদনের চূড়ান্ত অবস্থায় আছে। পাস হয়ে কার্যকর হওয়াটা বাকি।’

 

শেয়ারবাজারনিউজ/ওহসি/আহাতু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.