ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ছাড় শুরু
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুন:অর্থায়নের দ্বিতীয় কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা অর্থ ছাড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড, আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডসহ একাধিক হাউজকে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করেছে ইনভেষ্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। এছাড়া আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থ প্রাপ্তির আবেদন গ্রহন করা হবে। এর মধ্য থেকে যারা অর্থ প্রাপ্তির যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে ফেলবে তাদেরকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে। আইসিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা সম্প্রতি বরাদ্দ দিয়েছে আইসিবি।
এ ব্যাপারে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র এবং পুন:অর্থায়ন তদারকি কমিটির আহবায়ক মো: সাইফুর রহমান শেয়ারবাজার নিউজ ডটকমকে জানান, পুন:অর্থায়নের প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করা হয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির ৩০০ কোটি টাকাও বরাদ্দ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক হাউজকে চাহিদা মতো অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা পুন:অর্থায়নের দ্বিতীয় কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট বা সিকিউরিটিজ হাউজের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এ সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম থাকা বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফ ও মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ঋণ রি-সিডিউলিংয়ের সুবিধা প্রাপ্তির আবেদন করতে হবে। তা না হলে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের দ্বিতীয় কিস্তির ৩০০ কোটি টাকার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন বিনিয়োগকারীরা।
প্রসঙ্গত,চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তহবিল তদারক কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয় আইসিবি। গত ১৯ জানুয়ারি ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় গঠিত বিশেষ তহবিলের ৯০০ কোটি টাকার দ্বিতীয় কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড় করে। তহবিলের অর্থ ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে বিতরণ করবে।
উল্লেখ্য,অর্থায়ন তহবিলের প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকার মধ্যে ৩০ জুন ২০১৪ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ১৫টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে মোট ২৯৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এর বিপরীতে আদায়কৃত সুদাসলের ৫২ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দিয়েছে আইসিবি। এ ছাড়া ব্যাংক স্থিতির ওপর সুদ বাবদ দেয়া হয়েছে আরও ১৬ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
বর্তমানে এ তহবিল থেকে ঋণ সহায়তা পেতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে ১৭২ কোটি টাকার আবেদন জমা রয়েছে। এখন পর্যন্ত পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা তহবিলের সুফল ভোগ করছেন ১০ হাজার ৫৬৮ জন বিনিয়োগকারী। মাত্র ৯ শতাংশ সুদে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অনুকূলে ২৯৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার ঋণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা আরও সিকিউরিটিজ কিনতে কাজে লাগিয়েছেন তারা। এতে বিনিয়োগকারীদের সামর্থ্য যেমন বেড়েছে, তেমনি বাজারে তারল্য ও চাহিদা বেড়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম/সা