তেলের দাম আরো ১০ ডলার কমবে: বিশ্বব্যাংক
শেয়ারবাজার ডেস্ক: আগামী বছর নাগাদ তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি আরো ১০ ডলার কমবে। ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রভাবে তেলের বাজারে এ দরপতন ঘটবে। তেল আমদানিকারক দেশগুলো এ পরিবর্তনে লাভবান হবে।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে একথা বলা হয়েছে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রাখার বিনিময়ে সে দেশের ওপর থেকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্প্রতি একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের ত্রৈমাসিক পূর্বাভাসে দেখা যায়, ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এ চুক্তি কার্যকর হলে তেলের বাজারে সরবরাহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
‘ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অর্থনৈতিক প্রভাব’ শিরোনামের এ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার অনুপস্থিতিতে ইরানের তেল রপ্তানির সক্ষমতা বাড়বে।
এতে দেশটি আবার পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে বৈশ্বিক তেলের বাজারে ফিরে আসবে। যার প্রভাবে আগামী বছর নাগাদ বিশ্বের বাজারে তেলের জোগান দৈনিক গড়ে ১০ লাখ ব্যারেল বাড়বে।
এর আগে ২০১২ সালে নিষেধাজ্ঞা জোরদার করায় ইরান থেকে তেল রপ্তানি কমে গিয়েছিল। এবারে চুক্তির সুবাদে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে অন্যান্য দেশের পক্ষেও ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করা সহজ হবে।
এরই মধ্যে অনেক দেশই ইরানের তেল ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ লিলি মোত্তাকি বলেন, ‘পরমাণু চুক্তির রূপরেখা নিয়ে চলতি বছরের এপ্রিলে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতার পর থেকে ইরানে, বিশেষত তেল ও গ্যাস খাতে বিনিয়োগের ব্যাপারে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বাড়তি আগ্রহ দেখা গেছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে (বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর) এমন আগ্রহ আরো বাড়বে এবং ইরানের তেল শিল্প অতি প্রয়োজনীয় পুঁজি ও অগ্রসর প্রযুক্তির দেখা পাবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ইরানের জ্বালানি খাতে অন্যতম বড় বিনিয়োগ ছিল জাপানের। চলতি সপ্তাহে জাপানের ১০টি তেল ও গ্যাস কোম্পানির কর্মকর্তারা ইরানের তেল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, জ্বালানি তেলের দাম কমায় উপসাগরীয় অঞ্চলের রপ্তানিকারক দেশগুলোর আয় কমবে এবং মিশর ও তিউনিসিয়ার মতো তেল আমদানিকারক দেশ লাভবান হবে।