আলোর ঝলকানি দিয়ে নিভে গেল বাজার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সকালের সোনালী রোদের হাঁসি যেমন দিনের আবহাওয়ার কথা বলে দিতে পারে না, তেমনি কোনো কিছুর পুরাটা না দেখে অনুমান করা যায় না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হলেও শেয়ারবাজারে বিদ্যমান রয়েছে এ ধারা। তেমনি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে শুরুতে আলোর ঝলকানি থাকলেও শেষ ভাগে এসে নিভে যায় তা।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের পাশাপাশি কিছুটা কমেছে লেনদেন। এর ফলে একদিন পর আবার পতনে বিরাজ করছে বাজার। এদিন শুরুতে সূচক বৃদ্ধির ধারা অত্যাধিক থাকলেও প্রথম ঘন্টা পর ধীরে ধীরে পড়তে থাকে সূচক। দিনশেষে কমেছে বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে আজকের সামান্য পতনে হতাশ নয় বিনিয়োগকারীরা। কেননা শেয়ারবাজারে একদিন সূচক বাড়বে আরেকদিন কমবে এমনটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৮০৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১৯১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৮৫৯ পয়েন্টে।দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৯টির, কমেছে ১৭৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৬০৩ কোটি ২৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।
এর আগে বুধবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৮২১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১১৯২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৮৬৮ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৬১৫ কোটি ৭৯ লাখ ১২ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ২.০৪ শতাংশ।
এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮৯৯৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৫টির, কমেছে ১১২টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৮৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
এর আগে বুধবার সিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯০১৮ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয়েছে ১০৫ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৬ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা বা ৫৩.৭০ শতাংশ।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু