আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ অগাস্ট ২০১৫, রবিবার |

kidarkar

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

Latifশেয়ারবাজার রিপোর্ট: সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এর আগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানিতে হাজির হন তিনি।

রোববার ইসির শুনানি থেকে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকােল একথা জানান তিনি।

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করব। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে গেলাম। এ নিয়ে আর শুনানি করার দরকার নেই।’ নেত্রী চান না আমি এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করি। আমি আমার নেতার (শেখ হাসিনা) অনুগত, এ বিষয়ে আর আইনি লড়াই করতে চাই না। আজই স্পিকারের কাছে আমার সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে চিঠি দিবো।’

এতদিন কেন এ সিদ্ধান্ত নেননি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি দেখলাম এভাবে লড়াই করে সংসদ সদস্য টিকিয়ে রাখা যাবে না। যেহেতু নেত্রী চান না তাই নিজেই সরে দাঁড়াব।’

এর আগে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে দু’সপ্তাহ চাওয়ায় আজ শুনানি হয়নি। এবং তা মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ৬ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ বলেন, ‘তিনি আমাদের কাছে দু’সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন, আমরা দু’ সপ্তাহ সময় দিয়েছি। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে এবং সেদিনই এর রায় হবে। তবে এর আগে তিনি পদত্যাগ করলে শুনানির বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবো। পরে সংসদের স্পিকারই বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন।’

এর আগে সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের পর, আপিল বিভাগও একই আদেশ দেয়। তাই বহিষ্কৃত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে সংসদ সদস্য পদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে আসতেই হয়।

গত ২০ আগস্ট লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ বাতিল বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবীরা। এর আগে গত ১৬ আগস্ট এমপি পদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন লতিফ সিদ্দিকী।

রিটে নির্বাচন কমিশনের দেয়া চিঠির কার্যকারিতা স্থগিতের আরজি জানানো হয়েছে। ওই চিঠি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুলও চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (আইন) ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে রিটে বিবাদী করা হয়।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.