শিগগিরই আমান ফিডের লেনদেন
শেয়ারবাজার রিপোর্টঃ প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) লটারিতে বরাদ্দকৃত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারী ওনার্স (বিও) হিসাবে পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আমান ফিড মিলস লিমিটেড।
আজ সোমবার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে এ শেয়ার জমা করা হয়। এখন কোম্পানিটি শিগগিরই দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমতি সাপেক্ষ লেনদেন শুরু করবে বলে জানা গেছে।
লেনদেন শুরুর বিষয়ে কোম্পানি সচিব নন্দন চন্দ্র দে শেয়ারবাজার নিউজ ডটকমকে জানান, লটারিতে বরাদ্দকৃত শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। আর শেয়ার জমা হওয়ার বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জকে নিশ্চিত করে আজ লেনদেন শুরুর আবেদন করা হবে। এরপর স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমতিক্রমে লেনদেন শুরু করা হবে।
এ সময় খুব শিগগিরই আমান ফিড লেনদেন শুরুর অনুমোদন পাবে বলে আশা করেন তিনি।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এবং ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এ আমান ফিডকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত ২৪ জুন প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) লটারির ড্র সম্পন্ন করে আমন ফিড। আর এ কোম্পানির আইপিওতে মোট ৯১০ কোটি ১৯ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টাকার আবেদন জমা পড়েছিলো। যা মোট চাহিদার তুলনায় ১২.৬৪ গুণ। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দিয়েছেন ৫৯২ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার আবেদন, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা দিয়েছেন ৭৫ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকার আবেদন, প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা দিয়েছেন ১৪ কোটি ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকার আবেদন এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে জমা পড়েছে ২২৮ কোটি ১ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ টাকার আবেদন।
আমান ফিডের আইপিওতে স্থানীয় ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ২৫ মে, সোমবার থেকে ৪ জুন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আবেদন জমা দিয়েছেন।
পুঁজিবাজারে ২ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ৭২ কোটি টাকা উত্তোলন করবে আমান ফিড লিমিটেড। এজন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সাথে ২৬ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৩৬ টাকা মূল্যে শেয়ার ইস্যু করবে কোম্পানিটি।
উত্তোলিত টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণ, দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ পরিশোধ, চলতি মূলধন এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাব খরচ খাতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া বছরের নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৪.৯৭ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) ৩০.৭৭ টাকা।
এ কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশনের (বিএসইসি) ৫৪১তম কমিশন সভায় এ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। এ কোম্পানির মাধ্যমে আইপিও আবেদনের নতুন পদ্ধতি শুরু হয়। এ পদ্ধতির আওতায় শুধু ডিপোজিটরি পার্টিসিপেন্ট (ডিপি) তথা ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে আবেদন জমা দেয়া হয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ/সা