আনারস পুষ্টিগুণ!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: রসে ভরপুর আনারস পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। আর গরমের এই সময়ে রসালো আনারস হলে তো আর কথাই নেই। তাই প্রতিদিনের খাবারে আনারস রাখা যেতেই পারে। এটি দামেও সস্তা এবং আমাদের দেশে বেশ সহজলভ্য। এছাড়া এর পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্যও প্রয়োজনীয়। এবার আপনাদের জানাবো আনারসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে:
ঠাণ্ডা-কাশি প্রতিরোধে:
আনারসে ভিটামিন সি বেশি থাকায় এটি ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে। আনারসের ব্রোমেলেইন নামক উপাদান ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিকার করতেও সাহায্য করে।
ভিটামিন ও খনিজ লবণ:
আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকে। এরমধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম। আনারস থেকে প্রযোজনীয় ফাইবার বা আঁশ ও ক্যালরি পাওয়া যায়।
ওজন কমাতে:
আনারসে ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য আনারস খুবই উপকারী।
দাঁত ও মাড়ির সুস্থতায়:
দাঁত দুর্বল হওয়ার অন্যতম কারণ মাড়ির দুর্বলতা। দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে প্রতিদিন আনারস খাওয়া যেতে পারে। কারণ আনারস দাঁত মজবুত করে ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রেটিনার সুস্থতা:
রেটিনার সুস্থতা বজায় রাখতে আনারস সাহায্য করে। ম্যাকুলার ডিজেনারেশন রোগের কারণে প্রথমে দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পায় ও পরে রেটিনা বা অক্ষিপটের ক্ষতি হয়। প্রতিদিন আনারস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে এই রোগের সম্ভাবনা ৩৬ শতাংশ কমে আসবে। কারণ এই ফলে আছে বেটা ক্যারটিন যা চোখের জন্য উপকারী।
হাড় মজবুত রাখে:
হাড় গঠন ও সবল রাখার জন্য আনারস খুবই উপকারী। কারণ হাড় ও কোষের টিস্যু বা কোষ গঠন করার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায় আনারসে। যদি নিয়মিত এক কাপ পরিমাণ আনারস খাওয়া যায় তবে তা থেকে দেহের প্রয়োজনীয় ম্যাঙ্গানিজের ৭৩ শতাংশ পাওয়া যাবে।
হজমে সাহায্য করে:
আনারসের ব্রোমেলেইন হজমে সাহায্যকারী বিভিন্ন রসকে অ্যাসেডিক হতে দেয় না। তাছাড়া আনারসে প্রোটিন পরিপাকের উপাদান থাকে যা দেহের হজম ক্রিয়া বৃদ্ধি করে। তাই বদহজমের সমস্যা থাকলে আনারস খেলে উপকার পাওয়া যায়।