আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ জানুয়ারী ২০১৫, বুধবার |

kidarkar

নাশকতা দমনে যেকোনো ব্যবস্থা, দায়িত্ব আমার

sheikh hasinaশেয়ারবাজার রিপোর্ট : বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে চলমান সহিংসতা যে কোনো উপায়ে দমন করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্দ্বিধায় যে কোনো উপায় অবলম্বনের নির্দেশ দিয়ে নিজে সবকিছুর দায় দায়িত্ব নেবেন বলেও অভয় দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ‘এখানে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নাই, কোনো চিন্তা নাই। যা কিছু হোক সে দায়িত্ব আমি নেব।’

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বুধবার তেজগাঁওয়ের নিজ কার্যালয়ে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়ে এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন, বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দ্রুত আগাম নির্বাচন অথবা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে বিএনপির লাগাতার অবরোধের ২৩তম দিন চলছে আজ বুধবার। এই কর্মসূচিতে চলমান নাশকতা দমনের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আপনাদের দিতেই হবে। আর সেটা দেয়ার জন্য যত কঠিন কাজ হোক সেটা আপনারা নির্দ্বিধায় করে যাবেন; অন্তত এইটুকু লিবার্টি আমি আপনাদের দিচ্ছি।’

হরতাল-অবরোধে পেট্রোলবোমা হামলায় ‘মানুষ হত্যার’ চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড। এই সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড দমনের জন্য যখন যেখানে যা করা প্রয়োজন আপনারা তা-ই করবেন। কারণ মানুষ সেটা আশা করে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তারা আশা করে কঠোর হস্তে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হবে।’

পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ মানুষের ওপর যে জুলুম হচ্ছে, এই জুলুম যেন আর কেউ করতে না পারে। এবং যারা মানুষকে পোড়াবে বা মানুষের ওপর এভাবে আঘাত করবে তাদের বিরুদ্ধে যে কোনো ব্যবস্থা নেয়া দরকার- সেটা আপনারা নেবেন।’ আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সংরক্ষণ ও সংবিধান-গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব পালনে এ বাহিনীকে ‘ইস্পাত কঠিন মনোবল’ নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, আপনারা যখন নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন তখন এ ব্যাপারে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেবেন।’

গত বছর ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে নাশকতা দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে সন্ত্রাস ও নাশকতা মোকাবিলায় পুলিশের সঙ্গে জনগণকেও সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘কত মায়ের কোল যে খালি হচ্ছে। আমি জানি না বিএনপি নেত্রী তিনি তার সন্তান হারিয়েছেন। তার নিজের ব্যথা তিনি বোঝেন। কিন্তু যাদেরকে পুড়িয়ে মারছেন; সেই সন্তানের পোড়া শরীর দেখে বা পোড়া লাশ দেখে সেই মায়ের মনে যে কি কষ্ট সেই কষ্টটা কি খালেদা জিয়া বুঝতে পারছেন? আমার একটা প্রশ্ন থাকল এখানে।’

উল্লেখ্য, অবরোধে এ পর্যন্ত বিভিন্ন নাশকতায় কমপক্ষে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যানবাহনে দেয়া আগুন ও পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হয়েছে বহু মানুষ।

নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিতে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে লিফলেটও বিলি করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত অন্তত দুটি ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে মামলা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.