ডিএসইএক্সের তুলনায় স্থিতিশীল ডিএস৩০
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্যসূচকের (ডিএসইএক্স) তুলনায় শীর্ষ ৩০ শেয়ারের সূচক (ডিএস৩০) স্থিতিশীল রয়েছে। সপ্তাহ শেষে বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইএক্সের তুলনায় ডিএস৩০ সাপ্তাহিক ও দৈনিক উভয় হিসেবেই অধিক স্থিতিশীল রয়েছে।
ডিএসই’র শীর্ষ ৩০ শেয়ারের মধ্যে বর্তমানে ব্যাংক খাতের ৫ টি, এনবিএফআই খাতের ১টি, প্রকৌশল খাতের ২টি, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ২টি, জ্বালানী খাতের ৫টি, বস্ত্র খাতের ১টি, ওষধ ও রসায়ন খাতের ৫টি, সিমেন্ট খাতের ২টি, সিরামিক খাতের ১, বীমা খাতের ১টি, টেলিকম খাতের ২টি, ভ্রমন ও অবকাশ খাতের ২টি এবং বিবিধ খাতের ১টি কোম্পানি রয়েছে।
সপ্তাহ শেষে দেখা যায়, সার্বিক মূল্যসূচক কমে এসেছে প্রায় ০.৫৬ শতাংশ বা ২৭.৩৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে, ডিএস৩০ সূচক ০.৫৪ শতাংশ বা ১০.০৬ শতাংশ কমে এসেছে। একই সাথে সাপ্তাহিক টার্নওভারেও দেখা গেছে ‘এ’ ক্যাটাগরির প্রধাণ্য।
ডিএস ৩০ ইনডেক্সে রয়েছে ব্যাংক খাতের ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, এনবিএল, পূবালী ব্যাংক ও ইউসিবিএল। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের আইডিএলসি ফাইন্যান্স। প্রকৌশল খাতের আফতাব অটো ও বিএসআরএম স্টিল। খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের বিএটি বিসি ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। জ্বালানী খাতের তিতাস গ্যাস, যমুনা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা অয়েল ও সামিট পাওয়ার। বস্ত্র খাতের স্কয়ার টেক্সটাইল। ঔষধ ও রসায়ন খাতের স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, রেনাটা লিমিটেড ও এসিআই লিমিটেড। সিমেন্ট খাতের হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ও লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট। সিরামিক খাতের আরএকে সিরামিক। বীমা খাতের ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। টেলিকম খাতের গ্রামিনফোন ও সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড। ভ্রমন ও অবকাশ খাতের ইউনাইটেড এয়ার ও ইউনিক হোটেল এবং বিবিধ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেড।
আগের সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস থেকে ডিএসইএক্সের পতন সর্বশেষ সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসেও ঘটে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ডিএস৩০ পতন হয়েছে শুধুমাত্র সপ্তাহের প্রথম দিন। আর তুলনামূলকভাবে ডিএস৩০ ডিএসইএক্সের তুলনায় অধিকহারে বেড়েছে।
অন্যদিকে, বাজার বিশ্লেষকরা ভাবছেন আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে ধ্বসের প্রভাব পরোক্ষভাবে হলেও দেশের পুঁজিবাজারে পড়ছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এমন সময়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ কম দেখিয়ে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেকক্ষেত্রে এ দেশ থেকে পুঁজি ফেরত নিয়েও বাইরে বিনিয়োগ করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্রোকাজের হাউজ কর্মকর্তা শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমকে জানান, ‘বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কিছুটা নিষ্ক্রিয়তা প্যানিক তৈরী না করলেও বাজারে এর কিছুটা প্রভাব রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এমন ধ্বসের সময় তারা সাধারনত বাইরে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়। এ কারণে দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ কিছুটা কমে আসে। এর প্রভাব হয়ত বাজারে পড়ছে। ডিএস ৩০ তে অধিকাংশ ভালো কোম্পানি থাকায় এখানে চাপ কম পড়ছে তাই এ কোম্পানিগুলো অধিক স্থিতিশীল থাকতে পারছে।’
শেয়ারবাজারনিউজ/ওহসি/আহাতু