আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ অগাস্ট ২০১৫, রবিবার |

kidarkar

মন্ত্রীসভায় উঠছে ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি আইন

Financial_Institun_sharebazar_newsশেয়ারবাজার রিপোর্ট: মন্ত্রীসভায় উঠতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি আইন-২০১৪। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর আলোচিত আইনটি ৩১ আগস্ট সোমবার মন্ত্রীসভায় উঠতে যাচ্ছে এমন খবরে স্বস্তি বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট মহলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ঋণ প্রদান, নগদ তহবিল ও তরল সম্পদ সংরক্ষণ, পরিচালক নিয়োগ, পরিচালকদের শেয়ার ধারণ, মিথ্যা তথ্য প্রদানে কঠোর শাস্তি প্রদানের বিধান রেখে তৈরি হচ্ছে ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি আইন। ইতিমধ্যে এই আইনটি সর্বমোট ১০৩টি ধারার সঙ্গে প্রায় ৩০০টি উপধারা সংযোজন করে প্রস্তাবাকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যেমে আগের আইনটি আরও কঠোর হবে এবং কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে। পাশাপাশি নতুন আইনের অধীনে লিজিং ফাইন্যান্স কোম্পানির ব্যবসার আরও প্রসার ঘটবে।

অন্যদিকে, আইনের খসড়া করার সময় প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ) ব্যাংক কোম্পানির অনুরুপ আইনের দাবি জানিয়েছিল। ব্যাংক কোম্পানি আইন (সংশোধিত)- ২০১৩ অনুযায়ি, ব্যাংক কোম্পানিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ব্যাপারে যে প্রতিবন্ধকতা আছে, তার সদৃশ আইনের দাবি জানিয়েছে বিএলএফসিএ। এছাড়া জামানত সংরক্ষণে বাধ্যবাধকতা বাতিলের পক্ষে জোরাল অবস্থান নিয়েছে বিএলএফসিএ।

বিএলএফসিএ সূত্রে জানা যায়, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার ধরনের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ট্রেড ইউনিয়নের ব্যাপারটি আলাদাভাবে উল্লেখ করার জন্য এবং জামানত সংরক্ষণে বাধ্যবাধকতা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

এছাড়াও আইনের খসড়ার আরও বলা হয়েছে, এ আইনের অধীনে গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, আদেশ বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ১৯৯৪ সালের আইনের ৩ ধারা অধীনে এখতিয়ারভুক্ত কোনো আদালত ব্যতিত অন্য কোনো আদালত বা ট্রাইবুনালে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

এ বিষয়ে বিএলএফসিএ’র প্রেসিডেন্ট আসাদ খান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানান, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে এ ব্যাপার নিয়ে আমাদের আলোচনা হচ্ছে তিন বছর আগে থেকে। কিন্তু দেরিতে হলেও আইনটি মন্ত্রীসভায় উঠছে জেনে আশাবাদী হচ্ছি। আর এ আইন কার্যকর হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গতি ফিরবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায় আরো স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৩৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিধিমালা-১৯৯৪ কার্যকর রয়েছে। বহুদিন ধরে আইনটি সংস্কার করে সময়োপযোগী করার দাবি করে আসছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.