আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩১ অগাস্ট ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

এবারও অনুমোদন হল না ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি আইন

Financial_Institun_sharebazar_newsশেয়ারবাজার রিপোর্ট: মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন হলেও শেষ পর্যন্ত পাস হল না বহুল আলোচিত ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি আইন-২০১৪। সোমবার খসড়া আইনটি মন্ত্রীপরিষদে উঠলেও পাস হয়নি। ঠিক কি কারণে আইনটি ঝুলে গেল সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেনি কেন্দ্রিয় ব্যাংক।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ম.মাহফুজুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমকে বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হলেও আইনটি সংসদে উত্থাপনের জন্য অনুমোদন করা হয়নি।’  ঠিক কি কারনে আইনটি অনুমোদন হয়নিএ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি আইনের খসড়ায় কোনো সংশোধন বা পরিমার্জন প্রয়োজন হয় তবে পরে তা কেন্দ্রিয় ব্যাংককে জানানো হবে। এর বাইরে আর কেন্দ্রিয় ব্যাংকের সাথে এ ব্যাপারে মন্ত্রিসভার কোনো যোগাযোগ হবার সুযোগ নেই। তাই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ঋণ প্রদান, নগদ তহবিল ও তরল সম্পদ সংরক্ষণ, পরিচালক নিয়োগ, পরিচালকদের শেয়ার ধারণ, মিথ্যা তথ্য প্রদানে কঠোর শাস্তি প্রদানের বিধান রেখে প্রস্তাব করা হয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি আইন। ইতিমধ্যে এই আইনটি সর্বমোট ১০৩টি ধারার সঙ্গে প্রায় ৩০০টি উপধারা সংযোজন করে প্রস্তাবাকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যেমে আগের আইনটি আরও কঠোর হবে এবং কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে। পাশাপাশি নতুন আইনের অধীনে লিজিং ফাইন্যান্স কোম্পানির ব্যবসার আরও প্রসার ঘটবে।

অন্যদিকে, আইনের খসড়া করার সময় প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ) ব্যাংক কোম্পানির অনুরুপ আইনের দাবি জানিয়েছিল। ব্যাংক কোম্পানি আইন (সংশোধিত)- ২০১৩ অনুযায়ি, ব্যাংক কোম্পানিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ব্যাপারে যে প্রতিবন্ধকতা আছে, তার সদৃশ আইনের দাবি জানিয়েছে বিএলএফসিএ। এছাড়া জামানত সংরক্ষণে বাধ্যবাধকতা বাতিলের পক্ষে জোরাল অবস্থান নিয়েছে বিএলএফসিএ।

বিএলএফসিএ সূত্রে জানা যায়, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার ধরনের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ট্রেড ইউনিয়নের ব্যাপারটি আলাদাভাবে উল্লেখ করার জন্য এবং জামানত সংরক্ষণে বাধ্যবাধকতা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

এছাড়াও আইনের খসড়ার আরও বলা হয়েছে, এ আইনের অধীনে গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, আদেশ বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ১৯৯৪ সালের আইনের ৩ ধারা অধীনে এখতিয়ারভুক্ত কোনো আদালত ব্যতিত অন্য কোনো আদালত বা ট্রাইবুনালে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

আইনটি আবার ঝুলে যাওয়ায় তাই নিরাশ হয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ারবাজারনিউজ/ওহসি/আহাতু

 

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.