আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

সঙ্গীতশিল্পী স্বীকৃতি: বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অর্থই সকল বাঁধা

shikritiশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ‘আমি জ্ঞানত কারো সাথে অন্যায় করিনি, ক্ষতি করিনি, যদি কোন দিন কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তো প্লিজ ক্ষমা করবেন। আমি আমার ছোট্ট মনি প্রত্যাশার জন্য বাঁচতে চাই।”
কথাগুলো নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন কণ্ঠের যাদু দিয়ে শ্রোতা মাতানো জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী শাহনাজ রহমান স্বীকৃতি। শ্রোতাদের মন জয় করতে সঙ্গীতযুদ্ধের একজন প্রতিশ্রুতিশীল সৈনিক তিনি। শ্রোতারাও তাকে দিয়েছেন জনপ্রিয় শিল্পীর খেতাব।
কিন্তু বর্তমানে তার শরীরে বাসা বেঁধেছে ‘ননহজকিন লিম্ফোমা’ (Nonhodgkin Lymphoma) নামের এক কঠিন রোগ। যাকে ব্লাড ক্যান্সার বলা হচ্ছে। লাগবে প্রচুর রক্ত, প্রচুর অর্থ।
এখন বেঁচে থাকার লড়াইয়ে যেন অর্থের কাছেই তিনি পরাজিত হতে যাচ্ছেন।  তবে তার এই দু:সময়ের কান্ডারি হিসেবে হাল ধরেছেন সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবরসহ অন্যান্যরা।
কিন্তু শাহনাজ রহমান স্বীকৃতিকে বাঁচাতে প্রকাশ্য সাহায্য নেবে না শিল্পীমহল। তবে কেউ নিজ থেকে সহযোগিতা করতে চাইলে তাকে স্বাগতম জানিয়েছেন আসিফ আকবর।
ভক্তদের প্রত্যাশা, যে শিল্পী অর্ধ সহস্রাধিক গান শুধুমাত্র আমাদের চলচ্চিত্রেই যোগ করেছেন, যে মানুষের একটি খোলা প্রান্তরের মতো হৃদয় রয়েছে, যে বন্ধুর অনুপম এক ব্যক্তিত্ব রয়েছে, যে মমতাময়ী মায়ের প্রত্যাশা’র মতো মিষ্টি একটি মেয়ে রয়েছে তাকে কি করে আমরা হেরে যেতে দেই এই অকালে?

আমরা প্রার্থনা করি এই যুদ্ধ তিনি জিতবেন। আবার গানে ফিরবেন তিনি।

আমরা কি পারিনা এই মানুষটাকে আবার তার সুখের নীড়ে ফিরিয়ে দিতে? পারিনা ৭ বছরের ছোট্ট প্রত্যাশাকে তার মায়ের বুকে মাথা রেখে ঘুমানোর সেইদিনগুলো ফিরিয়ে দিতে? পারি, অবশ্যই পারি, আমরা আগেও দেখিয়েছি কিভাবে অন্যের বিপদে ঝাপিয়ে পড়তে হয়, এবারও পারবো ইনশাল্লাহ। পারতেই হবে, কারো জন্য না হোক, ছোট্ট প্রত্যাশার জন্য হলেও…

শাহনাজ রহমান স্বীকৃতি ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে কিছুদিন আগে চিকিৎসার জন্য গেলে এই রোগটি ধরা পড়ে। সেখানে তাকে জরুরী ভিত্তিতে ভর্তি হতে বললে টাকার স্বল্পতার কারণে তিনি ভর্তি হতে পারেননি। সেখান থেকে ২৮ আগস্ট ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। এখন অপেক্ষায় আছেন উন্নত চিকিৎসা ও পর্যাপ্ত অর্থ জোগারের।

১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্তির মধ্য দিয়ে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয় স্বীকৃতির। বাংলাদেশ বেতারে প্রথমেই ‘ক’ শ্রেণীর শিল্পী হিসেবে স্থান পেয়ে যান। এখন পর্যন্ত সাতটি একক অ্যালবাম ও পঞ্চাশের বেশি মিশ্র অ্যালবাম বাজারে এসেছে। চলচ্চিত্রে প্রায় সাড়ে পাঁচশ’গান গেয়েছেন তিনি।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.