আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

রকিবুর রহমানের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ:পরবর্তী শুনানি ৩ সেপ্টেম্বর

Trybunal_SharebazarNewsশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে ১৯৯৬ সালে চিটাগং সিমেন্টের শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলার প্রধান সাক্ষী আমিরুল ইসলাম চৌধুরীকে জেরা করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। মঙ্গলবার ১ সেপ্টেম্বর পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ন কবির আদালতে বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। চলে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।

১৯৯৬ সালের ধসের পর গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আমিরুল ইসলামকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মহসিন রশিদ। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খোন্দকার মাহবুব হোসেনসহ বিএসইসি’র আইনজীবীরা।

এদিকে আজ সাক্ষী জেরা সম্পন্ন না হওয়ায় আদালত আগামি বৃহষ্পতিবার ৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী জেরার তারিখ নির্ধারণ করেন। মামলার অপর সাক্ষী জহুরুল হককে জেরা করারে জন্য আগামি ৬ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

এ মামলায় আসামীরা জামিনে রয়েছেন।

চিটাগাং সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের (বর্তমানে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট লিমিটেড) এই মামলায় আসামী হলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান, এ এস শহিদুল হক ও টিকে গ্রুপের আবু তৈয়ব। আবু তৈয়ব দেশের বাইরে থাকায় আদালতে আসতে পারেননি। রকিবুর রহমান, এ এস শহিদুল হক ও আবু তৈয়ব ১৯৯৬ সালে কোম্পানিটির পরিচালক ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে চিটাগাং সিমেন্টের শেয়ার কেলেঙ্কারির দায়ে রকিবুর রহামনসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়— আসামিরা ১৯৯৬ সালে চিটাগাং সিমেন্টের পরিচালক ছিলেন। ভারতীয় ও ইরানী বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কিনবে বলে আসামিরা মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে শেয়ার মূল্য প্রভাবিত করেন। এ ব্যাপারে পরবর্তীকালে চিটাগাং সিমেন্টের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এরপর কোম্পানির একজন পরিচালক বড় অংকের শেয়ার হস্তান্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়া বিএসইসির নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রকিবুর রহমান ও এএস শহিদুল হক বুলবুল পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ১৭ ধারা অনুসারে কারসাজি।

পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আমিরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। তিন মাস পর ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ তদন্ত কমিটি সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে আসে। আর এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৯৯৭ সালের ৪ মে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে মামলা করে বিএসইসি। মামলাটি পরবর্তীকালে বিচারের জন্য প্রথম অতিরিক্ত দায়রা আদালত ঢাকায় বদলি করা হয়। এই আদালতে থাকাকালীন সময়ে মামলাটির বাদীর সাক্ষ্য শেষ হয়। পরবর্তীকালে মামলার আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ এলে বাদী পক্ষের সম্মতিতে নিম্ন আদালতের আদেশের উপর স্থগিত আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এরপর বিএসইসির ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর মামলাটি এই আদালতে স্থান্তান্তর করা হয়।

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.