আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

কি হয়েছিল লাফার্জ-সুরমা নিয়ে!

Lafarge-Cementশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের মুল্য সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে ব্যাপক হারে শেয়ার দরে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে। কোম্পানিটির দুই বছরের মুল্য সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৬৯ শতাংশ। কতিপয় মহলের কারসাজির কারণে শেয়ার দরে এমন উল্লম্ফন ঘটেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

কিন্তু বিভিন্ন মহলে এত আলোচনা ও সমালোচনা সত্ত্বেও কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া ছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) এর পক্ষ থেকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

আর শেয়ার দরে এমন অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে বিনিয়োগকারীদের ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।

৩০ জুন ২০১৩ সালের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল,জুন-১৩) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানির কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছিল (excluding non-controlling interests) ৩৬ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ০.৩১ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ১৫ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ছিল ০.১৩ টাকা। সে সময় কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছিল ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ছিল ২৪২ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার দর ছিলো ৩১ থেকে ৩২ টাকা। তখন কোম্পানিটির শেয়ার দরে তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি।

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারী১৩-সেপ্টেম্বর১৩) লাফার্জ সুরমার কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছিল ১৪ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.২২ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১২৩ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ১.০৬ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছিলো ১৮ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ইপিএস বেড়েছিল ০.১৬ টাকা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে কোম্পানিটির পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ছিল ২০৬ কোটি ৭৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

সে সময়ের গত তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’১৫) কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছিল (excluding non-controlling interests) ৩৬ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩১ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৬১ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ০.৫৩ টাকা।

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ কমতে থাকায় বিনিয়োগকারীরা ২০১৪ জানুয়ারি থেকে এর শেয়ারে প্রভাব পড়তে থাকে। ডিসেম্বর ক্লোজিং এ কোম্পানির বোর্ড সভাকে কেন্দ্র করে শেয়ার দর বাড়তে থাকে। জানুয়ারি ২০১৪ সলে ৩২ টাকা থেকে বেড়ে ৪৪ টাকায় পৌঁছে।

২০ ফেরুয়ারি ২০১৪ ডিএসইর ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির বোর্ড সভার র্নিধারিত তারিখ ঘোষণা করা হয়। জানানো হয় ৩ মার্চ বিকাল ৩টায় এ কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। আর এর প্রভাবে কোম্পানটির শেয়ার দর বেড়েছে।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো প্রকার ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারেনি। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর এমন সিদ্ধান্তে শেয়ার দর ৪৪ টাকা থেকে কমে ৩৮-৩৯ টাকায় লেনদেন হতে থাকে।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছিলো ২৫৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ২.১৯ টাকা, শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছিলো ৯.৫১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমান (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ৩.৮৯ টাকা।

এদিকে ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল লাফার্জ সুরমা একীভূতকরণের খবর প্রচার করে। এ খবর প্রচারের আগে থেকেই কোম্পানির শেয়ার দর বাড়তে থাকে। ৩৯ টাকা থেকে বাড়তে বাড়তে এ কোম্পানির শেয়ার দর ৭০.১০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়।

এরপর কোম্পানিটি ২০১৪ সালের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ`১৫) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ সময়ে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর সমন্বিত মুনাফা হয় ৬২ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় ইপিএস হয় ০.৫৪ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৭০ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিলো ০.৬০ টাকা। ৩১ মার্চ ২০১৪ সালে কোম্পানিটির সমন্বিত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩১ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানির সমন্বিত লোকসানে থাকায় শেয়ার দরে কিছুটা প্রভাব পরে। এ সময়ে ৭০.১০ টাকা থেকে ৬৩ টাকায় চলে আসে এ কোম্পানির শেয়ার দর।

তারপর থেকে হঠাৎ করেই আবার এর শেয়ার দর বাড়তে থাকে। এবং দর বাড়ার কারণ জানতে চায় ডিএসই। জবাবে দর বাড়ার কারণ নেই বলে জানানো হয় কোম্পানির পক্ষ থেকে।

পরবর্তীতে জানা যায়, ১০ জুলাই ২০১৪ কোম্পানিটি ৩১ মে ২০১৪ সমাপ্ত ৫ মাসের সময়ের জন্য ৫ শতাংশ অন্তবর্তীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আর এ খবর পূর্বে প্রকাশ হওয়ায় শেয়ার দরে প্রভাব পরে। এ সময়ে লাফার্জের কর পরিশোধের পর সমন্বিত মুনাফা হয়েছিলো ১১৪ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় হয়েছিলো ০.৯৯ টাকা, শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ ১০.৫১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রভায়ের পরিমাণ হয়েছিলো ০.৪৪ টাকা। এ সময়ে ৬৮ টাকা থেকে ৯১ টাকায় উঠে কোম্পানির শেয়ার দর।

এদিকে ডিভিডেন্ড ঘোষণার পরপর শেয়ার দর পুনরায় কমতে থাকে। ৯১ টাকা থেকে কমতে কমতে ৭৭ টাকায় চলে আশে। এর পর ২২ জুলাই ২০১৪ কোম্পানিটি দ্বিতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-জুন-১৪)  অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন করে। এসময়ে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর মুনাফা করে ১৪০ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১.২১ টাকা। যা আগের বছর ‍মুনাফা ছিল ১০৬ কোটি ২০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ০.৯১ টাকা। আলোচিত সময়ে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে ৩৪ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ইপিএস বেড়েছে ০.৩০ টাকা।  এদিক একই সময়ে কোম্পানির পুঞ্জিভুত লোকসান পরিমান ছিল ১২ কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর পর থেকে ক্রমাগত কোম্পানির শেয়ার দর বাড়তে থাকে।
পুনরায় দর বাড়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে জবাবে ১৮ আগস্ট ২০১৪ একই উত্তর দিয়েছিলো কোম্পানির পক্ষ থেকে। এতেও দর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। এর পর প্রকাশ হয় তৃতীয় প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর মুনাফা করে ২১০ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ইপিএস হয় ১.৮২ টাকা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১৪২ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ১.২২ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৬৮ কোটি ৫৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ইপিএস বেড়েছে ০.৬০ টাকা। এর পাশাপাশি পুঁঞ্জিভুত লোকসানও নেই কোম্পানির। আর এসময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর লক্ষ্যনীয়ভাবে বেড়েছে। দুটি মুল্য সংবেদনশীল তথ্যে কোম্পানির শেয়ার দর ৭৭ টাকা থেকে ১৪২ টাকা পর্যন্ত উঠে।

তবে অক্টোবর ২০১৪ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির কোন মুল্য সংবেদনশীল তথ্য না থাকায় শেয়ার দরে ব্যাপর পতন ঘটে ১৪২ টাকার শেয়ার ১০৬ টাকায় চলে আসে।

এতো কিছু হওয়া সত্ত্বেও থেমে থাকেনি কারসাজি। আবার ডিসেম্বরের শুরু থেকেই এ কোম্পানির শেয়ার দরে প্রভাব পড়তে থাকে। নতুন বছরের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে ১৩৬ টাকায় লেনদেন হয়। এর মধ্যে ডিএসইর পক্ষ থেকে দর বাড়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে কোন কারণ নেই বলে জানান কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এর পর আবার নামতে থাকে শেয়ার দর। ১৩৬ টাকা থেকে নেমে ১১৮ টাকায় অবস্থান করে।

এদিকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে জানানো হয়, ৫ মার্চ বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে এ কোম্পানির বোর্ড সভা। তার পর থেকে শেয়ার দর নামতে থাকে শেয়ার দর ১২৭ টাকা থেকে নেমে ১১০ টাকায় চলে আশে। ডিভিডেন্ড ঘোষণার পর ১১০ টাকা থেকে সর্বচ্চ ১২৪.৯০ টাকা পর্যন্ত উঠলেও তা বেশি দিন স্থায়ি হতে পারেনি। মে মাসে বাজার ব্যাপক মন্দাভাবে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০২.৯০ টাকায় নেমে আসে।

এর পর ৪ মে কোম্পানটি প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ ১৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে দেখা যায় কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৫৮ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ০.৫০ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬২ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ইপিএস হয়েছিল ০.৫৪ টাকা।  অথচ এর আগে থেকেই শেয়ার দর বাড়তে থাকে। এসময়ে ১০২.৫০ টাকা থেকে ১১৩ টাকা পর্যন্ত উঠে। এর পর শেয়ার দর নামে ১০৫ টাকায়।

এর পরপরই শেয়ার দর ১০৫ টাকা থেকে টানা বাড়তে বাড়তে ১২৯ চলে আসে। এসময় সিএসই দর বাড়ার কারণ জানতে চায়। জবাবে কোন মুল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানায় কোম্পানি। তবে কিছু দিন যেতে না যেতেই কোম্পানির মুল্য সংবেদনশীল তথ্য সম্পর্কে জানা যায়। কোম্পানিটি পরিচালনা পর্ষদ ১০ জুন বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত করে। সভায় বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ এবং অন্তবর্তীকালীন ৫ শতাংশ ক্যাশসহ মোট ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। বিনিয়োগকারীদের প্রতাশা অনুযায়ী লভ্যাংশ না পাওয়ায় শেয়ার দরে প্রভাব পরে ১২৯ টাকা থেকে নেমে ১১১ টাকায় চলে আসে শেয়ার দর।

এদিকে সর্বশেষ কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-জুন ১৫) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ২৯ জুলাই। অথচ এর আগে থেকেই শেয়ার দর বাড়তে থাকে। এ সময় ১১১ টাকা থেকে ১২৭ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে (consolidated) ১.১৬ টাকা, শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে (consolidated) ১১.৫৭ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকারী নগদ প্রবাহের পরিমাণ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) (consolidated) ১.০৯ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ইপিএস ছিল (consolidated) ১.২১ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল (consolidated) ১.০৬ টাকা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সমাপ্ত অর্থবছরে এনএভিপিএস ছিল (consolidated) ১১.৪১ টাকা । সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ০.০৫ টাকা।

গত তিন মাসে (এপ্রিল-জুন ১৫) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে (consolidated) ০.৬৬ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল (consolidated) ০.৬৭ টাকা।

মুল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের করার পরপরই পুনরায় বরাবরের মত শেয়ার দর কমতে থাকে। ১২৭ টাকা থেকে নামতে নামতে সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর ১১১ টাকায় চলে আসে।
কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে নানা খবর প্রচার করে এর শেয়ার দরে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। অথচ এ ব্যাপারে নিরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু/আহাতু/