রকিবুরের মামলায় ২য় সাক্ষীকে জেরা: পরবর্তী শুনানী ২০ সেপ্টেম্বর
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: চিটাগাং সিমেন্টের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী জহিরুল হককে জেরা সম্পন্ন করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এ মামলার অন্যতম আসামী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান এবং বুলবুল সিকিউরিটিজের এমডি শহিদুল হক বুলবুল।
বোরবার বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স ভবনে অবস্থিত পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ন কবিরের আদালতে তার জেরা সম্পন্ন হয়। জেরা শেষে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পরিবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন আদালত।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ধসের পর গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ও মামলায় ২য় সাক্ষী জহুরুল হককে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। আসামি রকিবুর রহমান ও বুববুলের পক্ষে জেরা করেন সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মোহসেন রশিদ এবং সাবেক চিটাগাং সিমেন্টের চেয়ারম্যান ও এমডির পক্ষে জেরা করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। এসময় বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা খান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এ মালার ৩য় সাক্ষী মনিরুদ্দিন আহমেদের জেরার জন্য পরবর্তী তারিখ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত। এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রধান সাক্ষী আমিরুল ইসলাম চৌধুরীকে জেরা সম্পন্ন করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
চিটাগাং সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের (বর্তমানে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট লিমিটেড) এই মামলায় আসামী হলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান, এ এস শহিদুল হক ও টিকে গ্রুপের আবু তৈয়ব। এ মামলায় আসামীরা জামিনে রয়েছেন। রকিবুর রহমান, এ এস শহিদুল হক ও আবু তৈয়ব ১৯৯৬ সালে কোম্পানিটির পরিচালক ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে চিটাগাং সিমেন্টের শেয়ার কেলেঙ্কারির দায়ে রকিবুর রহামনসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়— আসামিরা ১৯৯৬ সালে চিটাগাং সিমেন্টের পরিচালক ছিলেন। ভারতীয় ও ইরানী বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কিনবে বলে আসামিরা মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে শেয়ার মূল্য প্রভাবিত করেন। এ ব্যাপারে পরবর্তীকালে চিটাগাং সিমেন্টের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এরপর কোম্পানির একজন পরিচালক বড় অংকের শেয়ার হস্তান্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়া বিএসইসির নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রকিবুর রহমান ও এএস শহিদুল হক বুলবুল পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ১৭ ধারা অনুসারে কারসাজি।
পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আমিরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। তিন মাস পর ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ তদন্ত কমিটি সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে আসে। আর এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৯৯৭ সালের ৪ মে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে মামলা করে বিএসইসি। মামলাটি পরবর্তীকালে বিচারের জন্য প্রথম অতিরিক্ত দায়রা আদালত ঢাকায় বদলি করা হয়। এই আদালতে থাকাকালীন সময়ে মামলাটির বাদীর সাক্ষ্য শেষ হয়। পরবর্তীকালে মামলার আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ এলে বাদী পক্ষের সম্মতিতে নিম্ন আদালতের আদেশের উপর স্থগিত আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এরপর বিএসইসির ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর মামলাটি এই আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/তু