আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

৫ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় ডিরেক্ট লিষ্টিং

dse-cseশেয়ারবাজার রিপোর্ট: দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিরেক্ট লিষ্টিংয়ের (সরাসরি তালিকাভুক্তি) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলো প্রবেশ করছে না। তাই ডিরেক্ট লিষ্টিং বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) তালিকাভুক্তির পর থেকে এ পর্যন্ত একটি কোম্পানিও এ পদ্ধতির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। মূলত সরকারি কোম্পানির শেয়ার অডলোড না হওয়া ও এ পদ্ধতিতে অন্যান্য বেসরকারি কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে অনাগ্রহ থাকায় ডিরেক্ট লিষ্টিং এখন নিষ্ক্রিয়। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ডিরেক্ট লিষ্টিংয়ের মাধ্যমে ১০ কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এসব কোম্পানি বাজারে মোট ১৮ কোটি ৫৩ লাখ ৯৬ হাজার ২০৩টি শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে ১ হাজার ২৮১ কোটি ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সে সময় কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার ১০০ টাকা ফেসভ্যালুতে ৯১ লাখ ৮ হাজার ৯৪০টি শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে পাওয়ার গ্রিড ৯১ কোটি ৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা উত্তোলন করে। একই বছরে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড প্রতিটি শেয়ার ১০০ টাকা ফেসভ্যালুতে ৩১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮৫টি শেয়ার পুঁজিবাজারে ছেড়ে ৩১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা সংগ্রহ করে। ২০০৭ সালের যমুনা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেড প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে ১ কোটি ৩৫ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। এছাড়া মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১২ কোটি টাকা উত্তোলন করে। ২০০৮ সালে ডিরেক্ট লিষ্টিংয়ের মাধ্যমে তিন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর মধ্যে এসিআই ফরমুলেশন লিমিটেড প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ শেয়ার ছেড়ে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড প্রতিটি শেয়ার ১০০ টাকা ফেসভ্যালুতে ২ কোটি ১৪ লাখ ১১ হাজার ৭২৮টি শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২১৪ কোটি ১১ লাখ ৭২ হাজার ৮০০ টাকা সংগ্রহ করে। শাইনপুকুর সিরামিকস প্রতিটি শেয়ার ফেসভ্যালু ১০ টাকাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ ১১ হাজার ৮০০ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ৩৫ কোটি ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে। ২০০৯ সালে নাভানা সিএনজি লিমিটেড প্রতিটি শেয়ার ফেসভ্যালু ১০ টাকায় পুঁজিবাজারে ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে ১৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। ২০১০ সালে ডিরেক্ট লিষ্টিংয়ের মাধ্যমে দুই কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়। এর মধ্যে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল) প্রতিটি শেয়ার ১৬২ টাকা নির্ধারণ করে বাজারে প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে প্রতিটি শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম নেয়া হয় ১৫২ টাকা। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ৫ কোটি ২১ লাখ ৪৮ হাজার ২৫০ শেয়ার ছেড়ে ৮৪৪ কোটি ৮০ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা সংগ্রহ করে। ওশান কন্টেইনার প্রতিটি শেয়ারের ফেসভ্যালু ১০ টাকায় ১ কোটি ১৯ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.