আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

বড় শিল্পপতিদের শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ

brokarage

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশে বিকল্প বিনিয়োগ উৎসের (অল্টারনেটিভ সোর্স অব ফান্ড) অভাব রয়েছে। বড় বড় শিল্পপতিরা এ খাতকে ঠিকমত ব্যবহার করতে পারছেন না। তাই শেয়ারবাজারকে বিকল্প বিনিয়োগ উৎস হিসেবে সম্মিলিতভাবে ব্যবহার করার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনকে আহ্বান জানিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি জনাব মাতলুব আহমাদ।
মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে ডিএসইর ব্রোকারর্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে আজ (০৭.০৯.২০১৫) সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ডিএসইর ডিএসই’র ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব আহসানুল ইসলাম টিটু, এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জনাব মিজানুর রহমান খান, জনাব এ এস শহিদুল হক বুলবুল, জনাব মোঃ হানিফ ভুঁইয়া, জনাব মিনহাজ মান্নান ইমন, মিসেস খুজিস্তা-নূর-ই নাহরিন, ডা. জহিরুল ইসলাম, জনাব মোস্তাক আহমেদ সাদেক ও জনাব মাহবুবুর রহমান সেলিম উপস্থিত ছিলেন।
জনাব মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘এ জন্য ডিএসইর ব্রোকারর্স এসোসিয়েশনকে বলেছি, প্রতি দুই মাস পর পর আমরা সমন্বিত বৈঠক করব। এ বৈঠকে দেশের বড় বড় শিল্পপতিরাও উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে অল্টারনেটিভ সোর্স অব ফান্ড সম্পর্কে ডিএসইর ব্রোকারর্স এসোসিয়েশন বোঝাবেন বা ব্যাখা দেবেন। আসলেই শেয়ারহোল্ডাররা এ খাতে বিনিয়োগ নিরাপদ থাকবেন কী না সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ফরমূলা দেবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি অতীতের সকল দুঃখ ঘুচিয়ে নতুন উদ্যোমে কাজ করবে ডিএসইর ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন এ সংগঠন শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের শেয়ারবাজারের ব্রোকারদের নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) একটি সংগঠন গড়ে তুলেছে। তারা শিগগিরই এফবিসিসিআইয়ের তালিকাভুক্ত হবে।
এদিকে বৈঠক শেষে ডিএসই’র ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের বলেন, ‘এফিবিসিসিআই দেশের সকল ব্যবসায়িক সংগঠনের এ্যাপেক্স বডি। আগে আমরা একটি এসআরও’র মাধ্যমে ডিএসই’র এ্যাপেক্স বডি হিসেবে কাজ করতাম। এখন আমরা ব্রোকাররা একত্রিত হয়ে সংগঠনের মাধ্যমে এফবিসিসিআইয়ের আওতাভুক্ত হব। এই এ্যাপেক্স বডির কাজ হিসেবে আমরা আগামীতে প্রতি দুই মাস পর পর এফবিসিসিআইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করব। ওই বৈঠকে মূলত উদ্যোক্তারা কী ভাবে এ অল্টারনেটিভ সোর্স অব ফান্ডে ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ করবেন তা নিয়ে আলোচনা হবে। এক কথায় কী ভাবে পুঁজিবাজারকে কাজে করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হবে।’ তিনি বলেন, ‘সারা দেশে এফবিসিসিআইয়ের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম আছে। আমরা ওই প্লাটফর্মকে কাজে লাগাতে চাই। অর্থাৎ এফবিসিসিআইয়ের ৬৪টি জেলা চেম্বার আছে। আর জেলাগুলোতে ছোট বড় বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন আছে। এ শক্তিকে আমরা কাজে লাগাব। যা দিয়ে আমরা বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়ানোর মতো বেশ কিছু কর্মসূচি করব। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণতা করতে যে বিনিয়োগের প্রয়োজন তা আনার চেষ্টা করব। দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসায়িদের মধ্যে এ বিষয়ে গ্যাপ ছিল। আমরা এ দূরত্বটাকে ঘুচাতে চাচ্ছি। এতে আমরা ব্যবসায়িরা একই প্লাটফর্মে কাজ করতে পারব। এ লক্ষ্য নিয়ে ডিএসইর ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশন কাজ করবে। আমরা আশাবাদী যে শিগগিরই বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা পূরণে সফল হব।’

 

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.