আদালতে গড়াচ্ছে বিএসআরএমের আইপিও ইস্যু: স্থগিত করতে উকিল নোটিশ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (বিএসআরএম) প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন আগামীকাল থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু বর্তমান মন্দা বাজার পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত প্রিমিয়ামযুক্ত এ কোম্পানির আইপিও স্থগিত করার জন্য আদালতে যাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ইতিমধ্যে এ কোম্পানির আইপিও স্থগিত করতে এক বিনিয়োগকারীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ (বিএসইসি) কোম্পানি বরাবর উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে কোম্পানির পক্ষ থেকেও আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো সময় এ কোম্পানির আইপিও স্থগিতের জন্য হাইকোর্টে শুনানী হতে পারে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ১৮ জানুয়ারি অ্যাডভোকেট মো: তৌফিকুল ইসলাম বিনিয়োগকারী আবুল খায়েরের (বিও অ্যাকাউন্ট নং : ১২০২২০০০০১১২৬৯০) পক্ষ থেকে বিএসআরএমের আইপিও স্থগিত করতে উকিল নোটিশ পাঠায়। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.এম খায়রুল হোসেন, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান, কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী হোসেন আকবর আলী এবং কোম্পানির সচিব শেখর রঞ্জন কর বরাবর উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। উকিল নোটিশে এ কোম্পানির অতিরিক্ত প্রিমিয়াম বর্জন করে প্রিমিয়াম ছাড়া আইপিওর অনুমোদনের অনুরোধ জানানো হয়।
উকিল নোটিশে বলা হয়, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত প্রিমিয়াম (ফেসভ্যালু ১০ ও প্রিমিয়াম ২৫ টাকাসহ মোট ৩৫ টাকা) দিয়ে আইপিওর অনুমোদন দেয়া বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ পরিপন্থি। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অ্যাক্ট,১৯৯৩ এর ৮(১) ধারার লঙ্ঘণ। এ কোম্পানির আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত প্রিমিয়ামের অর্থ দিয়ে ঋণ পরিশোধের কাজে ব্যবহার করা যায় না। এটি কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর ৫৭ ধারার লঙ্ঘন।
অতএব এ কোম্পানির আইপিও প্রিমিয়াম ছাড়া অনুমোদন করা হোক। না হলে ১০২ নং আর্টিকেলের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ কোম্পানির আইপিও স্থগিতের জন্য হাইকোর্ট ডিভিশনের দ্বারস্ত হতে হবে।
এদিকে আইপিও স্থগিতে নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ কোম্পানির সিএফও এবং সচিব শেখর রঞ্জন কর। তিনি শেয়ারবাজার নিউজ ডটকমকে জানান, আমরা উকিল নোটিশ পেয়েছি। সেটা আমাদের লিগ্যাল ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হয়েছে। এখন আদালতের মাধ্যমেই বিষয়টি সমাধান হবে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ১ কোটি ৭৫ লাখ শেয়ার ছেড়ে আইপিওর মাধ্যমে ৬১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উত্তোলন করবে। এ জন্য ১০ টাকা ফেসভ্যালুর সঙ্গে ২৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের নির্দেশক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা।
আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে কোম্পানিটি ঋণ পরিশোধ ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
এর আগে বিএসইসির ৫৩৩তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও’র অনুমোদন দেয়া হয়।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫.০৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ৫২.০৯ টাকা।
আইপিও ব্যবস্থাপনায় কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড।
শেয়ারবাজার/সা/অ