আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

৩ জাতীয় পরিচয়পত্রে ৩৬ হাজার সিমের নিবন্ধন

simশেয়ারবাজার রিপোর্ট: তিনটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ৩৬ হাজার সিমের নিবন্ধন আছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট তারানা হালিম।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সকল মোবাইল ফোন অপারেটরদের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর সময় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

তারানা হালিম বলেন, পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে মোট মোবাইল সিম গ্রাহকের সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি। এর মধ্যে মাত্র ৭.৬৫ শতাংশ গ্রাহক প্রকৃত তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করেছেন। সেই হিসেবে প্রকৃত তথ্যদাতার সংখ্যা মাত্র ৯৯ লাখ। তবে, নিবন্ধন হওয়া এসব সিমের অনেকগুলো ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধিত। এর মধ্যে একটিমাত্র ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার এবং আরও দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১১ হাজারের বেশি করে মোট ২২ হাজার সিমের নিবন্ধন আছে। অর্থাৎ এ তিন জাতীয় পরিচয়পত্রে  মোট নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ৩৬ হাজার।

তারানা হালিম বলেন, ‘এ পর্যন্ত (সোমবার) পাওয়া তথ্য অনুযায়ী টোটাল মোবাইল গ্রাহকদের ৭.৬৫ শতাংশের তথ্য আমরা পেয়েছি। এটা আমাদের চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

তথ্য এখনো হাতে আসছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিদিনই তথ্য আসছে। এখনো সর্বশেষ কথা বলার সময় আসেনি। যখন সব তথ্য আমরা পেয়ে যাব তখন আবারো জানাবো

একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১শ ১৭টি সিমের নিবন্ধন পাওয়া গেছে। সেটা ফেইক পরিচয়পত্র। আরেকটির বিপরীতে ১১ হাজার ৮শ ৬৬ এবং অপর একটি পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১১ হাজার ৩শ ২৮টি সিমের নিবন্ধ পাওয়া গেছে।

ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি

ডিসেম্বর থেকে আমরা বায়োমেট্রিক (হাতের আঙ্গুলের ছাপ) পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের কাজে নামবজানিয়ে অপারেটরদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর জন্য আপনারা নভেম্বর থেকেই ট্রায়াল বেসিস কাজ শুরু করবেন। এখন যেগুলো (সিম) রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে সেটাও যেন বায়োমেট্রিক সিস্টেমে সমন্বয় করা যায় তা এনআইডিতে সহযোগিতা চাওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘এই পর্যন্ত আমরা জাতীয় পরিচয়পত্র কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেয়েছি তাদেরকে ধন্যবাদ। মোবাইল ফোন অপারেটরদেরও যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা যে তথ্য পেয়েছি তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

তথ্য অনুযায়ী, এয়ারটেলের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৯০ লক্ষ ৮০ হাজার। নিবন্ধনের তথ্য পাওয়া গেছে ১৪ লক্ষ ৪ হাজার ৯৩৮ টি সিমের। এই অপারেটরের মোট গ্রাহকের ৫.৪৭ শতাংশের তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলালিংকের মোট গ্রাহক ৩ কোটি ২৪ লক্ষ ৬ হাজার। দ্বিতীয় বৃহত্তম এই অপারেটরের তথ্য পাওয়া গেছে ২৩ লক্ষ ৫৫ হাজার সিমের। মোট সিমের মধ্যে নিবন্ধিত ৭.২৭ শতাংশ।

গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক ৫ কোটি ৩৯ লক্ষ ৮০ হাজার। নিবন্ধন তথ্য পাওয়া গেছে ২২ লক্ষের (৪.০৮ শতাংশ)।

সিটিসেলের মোট গ্রাহক ১১ লক্ষ ৬১ হাজার। তথ্য পাওয়া গেছে ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ৮২৯ টির। শতাংশের হিসেবে এর পরিমান ৩৫.৭৩।

রবির মোট গ্রাহক ২ কোটি ৭৯ লক্ষ ২১ হাজার গ্রাহক। নিবন্ধিত ১৮ লক্ষ ১১ হাজার ৬৮৬ টি সিমের (৬.৪৯ শতাংশ)।

টেলিটকের মোট গ্রাহক ৪২ লক্ষ ২১ হাজার, তথ্য পাওয়া গেছে ১৬ লক্ষ ৫৯ হাজারের (৩৯.৩২ শতাংশ)।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.