আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

বিশ্বকাপের দুর্নীতি তদন্তের সিদ্ধান্ত

fafaশেয়ারবাজার ডেস্ক: ফিফা এখন সমস্যায় জর্জরিত একটি প্রতিষ্ঠান। পঞ্চমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েও সেপ ব্ল্যাটারের পদত্যাগের ঘোষণা, দুর্নীতির অভিযোগে মহাসচিবের পদ থেকে জেরোম ভালকেকে বহিষ্কার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বার বার। এবার ফিফার জন্য আরেকটি আঘাত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার পেতে কোনো ধরনের দুর্নীতি করেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির পুলিশ।

২০১০ সালে আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে ফুটবলের সেরা প্রতিযোগিতা আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার পেতে দক্ষিণ আফ্রিকার দুজন ফুটবল কর্মকর্তা ফিফার কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বিরোধী দল এ ব্যাপারে তদন্ত চালানোর দাবিতে সোচ্চার। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির পুলিশ। তদন্ত চালানো হবে দক্ষিণ আফ্রিকান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি ড্যানি জর্ডান ও তাঁর পূর্বসূরী মোলেফি অলিফান্তের বিরুদ্ধে। ২০১০ বিশ্বকাপ আয়োজনের সময় দক্ষিণ আফ্রিকান ফুটবলের প্রধান ছিলেন মোলেফি। আর বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান ছিলেন জর্ডান। ক্যারিবীয় অঞ্চলে ফুটবল উন্নয়নের জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফিফাকে চিঠি লিখেছিলেন দুজনে। যদিও এটাকে ঘুষ হিসেবে অভিহিত করছে যুক্তরাষ্ট্র।

জর্ডান-মোলেফির বিরুদ্ধে ফিফার সাবেক সহসভাপতি জ্যাক ওয়ার্নারের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ব্যাংক হিসাবে এক কোটি ডলার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সংসদ সদস্য সলোমন মালাটসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এক কোটি ডলার নিয়ে অস্বচ্ছতা থাকায় আমরা এই দুজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনেছি। এই অর্থ দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল উন্নয়নে ব্যয় করার কথা ছিল। কিন্তু তা পাঠানো হয়েছিল কনকাকাফ অঞ্চলে।’

২০১০ সালে উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ফুটবল সংস্থা কনকাকাফের সভাপতি ছিলেন জ্যাক ওয়ার্নার। গত মে মাসে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফা কংগ্রেসের ঠিক আগে দুর্নীতির অভিযোগে ওয়ার্নারসহ ফিফার সাত শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ও ফুটবল কর্মকর্তারা এটাকে ঘুষ হিসেবে দেখতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, ক্যারিবীয় অঞ্চলের ফুটবল উন্নয়নে ‘সৎ উদ্দেশ্য’ নিয়েই এক কোটি ডলার দান করা হয়েছিল।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/ম

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.