প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলা: স্বাক্ষী জেরার তারিখ নির্ধারণ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: শেয়ার কারসাজির অভিযোগে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজসহ চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় স্বাক্ষীদের পুনরায় জেরার জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। আগামী ১৫ অক্টোবর পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এ জেরা অনুষ্ঠিত হবে।
৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার এ মামলার চার্জ শুনানির পাশাপাশি আসামি এম এ রউফ চৌধুরী শারীরিক অসুস্থতার কারণে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে আদালতে উপস্থিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি চান। তার পক্ষে আবেদন করেন আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম। তবে আদালত শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলার রায় স্থগিত করেছিলো আদালত । একই সাথে আবেদনের প্রেক্ষিতে আসামিদের জামিন দেয় আদালত। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষিকে পুনরায় জেরার আবেদন করলে আদালত সিআরপিসি ৫৪০ মোতাবেক আবেদন মঞ্জুর করে পুনরায় চার্জ শুনানির জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছিলো।
এ মামলার সাক্ষীরা হলেন, বাদী বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক এমএ রশিদ খান, তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর জহুরুল হক, প্রফেসর আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল খালেক ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ দেলোয়ার হোসেন। আর আসামীরা হলেন, এমএ রউফ চৌধুরী, সাঈদ এইচ চৌধুরী, প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান ও পরিচালক আনু জাগিরদার।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, আজ আসামিদের পুনরায় চার্জ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। চার্জ শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবী করে আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থণা করেন। তাই আদালত পুনরায় স্বাক্ষী জেরা করার আদেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, আসামিদের মধ্যে এম এ রউফ চৌধুরী বয়স্ক এবং অসুস্থ বিধায় শুনানির সময় আদালতে ব্যক্তিগত উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আর এ বিষয়ে মানবতার খাতিরে আমরা কোন আপত্তি করিনি। তবে এ বিষয়ে আদালত এখনো কোন আদেশ দেননি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। আলোচ্য সময়ে তারা মিতা টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, বাটা সুজ ও বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন করেছেন।
যার মধ্যে ছিল বেক্সিমকো ফার্মার ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫টি শেয়ার। তবে ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট দিয়েছে ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০টি শেয়ারের। এছাড়া মিতা টেক্সটাইল লিমিটেডের ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৫৬০টি শেয়ারের বিপরীতে ১ লাখ শেয়ার, প্রাইম টেক্সটাইল লিমিটেডের ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫০টি শেয়ারের বিপরীতে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০টি শেয়ার, বাটা সু লিমিটেডের ৫ লাখ ৫৩ হাজার ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৫০টি শেয়ার বিদেশি ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট (ডিভিপি) দিয়েছে। আসামিরা ওই সব কোম্পানির শেয়ার অপারেট করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি, অপকার ও অনিষ্ঠ সাধন করেছেন। আসামিরা ওই সব কোম্পানির শেয়ার অপারেট করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি, অপকার ও অনিষ্ঠ সাধন করেছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ২১ ধারা বলে গঠিত তদন্ত কমিটি ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামিরা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ১৭ ধারার ই(২) বিধান লংঘন ও সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ এর ২৪ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/তু