সপ্তাহজুড়ে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বেড়েছে মূল্যসূচক। এক কার্যদিবস সূচক তুলনামূলক কমলেও বাকি ৩ কার্যদিবস বেড়েছে সূচক । ফলে সপ্তাহ শেষে মূল্য সূচক বাড়লেও টাকার অংকে কমেছে লেনদেন ।
সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্স বেড়েছে ২.৪৫ শতাংশ বা ১১৭ পয়েন্ট। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৩১৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩১টির, কমেছে ৫৮টির, দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির এবং লেনদেন হয়নি ৪টি কোম্পানির শেয়ার। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৮৩৯ কোটি ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ৬২ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আর গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ২৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩১৬টি।
এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স কমেছিল ০.৬৮ শতাংশ বা ৩২ পয়েন্ট। সে সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৮৯৯ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার ১২ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আর শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ২৩ কোটি ২৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯২২টি। সে হিসেবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন কমেছে ৬.৬৬ শতাংশ বা ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ ৫ হাজার ৯৫০ টাকা। আর শেয়ারের হিসাবে লেনদেন কমেছে ৮.৫৬ শতাংশ বা ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৬টি।
এছাড়া গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ কোটি ৬৯১ কোটি ৯ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৮ টাকা বা ০.৭৬ শতাংশ।যা আগের সপ্তাহে বেড়েছিল ৩২৯ কোটি ৬৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৮ টাকা বা ০.১০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮২.৫৪ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৩.৭৪ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির ৬.১৫ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৭.৫৮ শতাংশ। যা আগের সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ছিল ৮২.৭৯ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৩.২৫ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির ৭.৩৬ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৬.৬৯ শতাংশ।
এদিকে সপ্তাহ শেষে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক বেড়েছে ১.৬২ শতাংশ বা ১৪৬ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে সিএসইর সিএসসিএক্স মূল্যসূচক অবস্থান করছে ৯১৬৫ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ২৬৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৮টির, কমেছে ৬৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এর আগের সপ্তাহে সিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক কমেছিল ০.৯১ শতাংশ বা ৮৩ পয়েন্ট। ওই সপ্তাহে সিএসরই মূল্যসূচক অবস্থান করে ৯০১৯ পয়েন্টে।
শেয়ারবাজার ডেস্ক