শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের আইপিও আবেদন আগামী ৮ নভেম্বর শুরু হবে। আর এ আবেদন প্রক্রিয়া আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

মেয়াদি এ ফান্ডটি পরিচালনা করবে ভ্যানগার্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং এটিই তাদের প্রথম মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

৫৫৪তম কমিশন সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মেয়াদি এ ফান্ডের অনুমোদন দেয়।

ফান্ডটি প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৭ কোটি ইউনিট (প্রতিটি ১০ টাকা করে) ছেড়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৭০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। ১০ বছর মেয়াদি এ ফান্ডের ৫০০ ইউনিটে লট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য ৭ কোটি টাকার ৭০ লাখ ইউনিট, প্রবাসি বাংলাদেশিদের জন্য ৭ কোটি টাকার ৭০ লাখ ইউনিট, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৪ কোটি টাকার এক কোটি ৪০ লাখ ইউনিট এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪২ কোটি টাকার ৪ কোটি ২০ লাখ ইউনিট বরাদ্দ করা হয়েছে।

অ্যাসেট ম্যানেজার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, ১০ বছর মেয়াদি ১৫০ কোটি টাকা আকারের ফান্ডের স্পন্সর হয়েছে বিডি ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লি:। আর ফান্ডে স্পন্সরের বিনিয়োগ ২০ কোটি টাকা। এদিকে প্রি-আইপিও প্লেসমেন্টে ৬ কোটি ইউনিট ছেড়ে ৬০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে।

ফান্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি: (বিজিআইসি) এবং কাস্টডিয়ান (জিম্মাদার) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ব্র্যাক ব্যাংক লি:।

এ বিষয়ে ভ্যানগার্ড অ্যাসেট ম্যানাজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়ারকার আহমেদ চৌধুরী শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, এটাই আমাদের প্রথম মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। যেহেতু মেয়াদি ফান্ডের টাকা পুঁজিবাজারেই বিনিয়োগ করতে হয় তাই আমরা স্বচ্ছ ও লাভজনক বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে রিসার্চ অ্যানালাইসিসি বিভাগ গঠন করেছি। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে মুনাফা ধরে রাখতে আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছি।

বর্তমান ফান্ডগুলোর দূরাবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, এখন যেসব ফান্ড দূরাবস্থার মধ্যে রয়েছে তাদের বেশিরভাগই ২০১০ সালে তালিকাভুক্ত। আর বাজারের বিশাল ধসের প্রভাব এ ফান্ডগুলো বহন করছে। তবে বর্তমানে বর্তমান কমিশনের নেতৃত্বে বিনিয়োগ উপযোগী অবস্থানে রয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ফান্ড থেকে বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত ডিভিডেন্ড দেয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এর জন্য আমরা সম্ভাব্য ডিভিডেন্ড এর অর্থ প্রভিশন রেখে নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হিসাব করছি।

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু