আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ অক্টোবর ২০১৫, বুধবার |

kidarkar

৪ কারণে বাজারে দৈন্যদশা

dse-cseশেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বুধবার লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩০৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা যা গত চারমাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ চলতি বছরের ২১ জুন ‍ডিএসই’তে ৩০৮ কোটি ২৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল। অন্যদিকে এদিন বাজারের সার্বিক সূচকের পতন হয়েছে ৬৩.৫৮ পয়েন্ট।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ঋণের চাপের কারনেই লেনদেন এবং সূচকের এমন হতশ্রী দশা হয়েছে। এদিকে বাজারে পতনের ধারা শুরু হবার কারণে বেশকিছু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ট্রিগার-সেল এবং প্রান্তিক প্রতিবেদনে ব্যাংকসহ বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার দৈন্যদশাও সাধারন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী করছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও শেয়ারের সরবরাহ সেই পরিমানে নেই বলে দাবি করেছেন ব্রোকাজের সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে এপেক্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেরিফ মোহাম্মদ আবদুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমকে বলেন, ‘বাজারের পতন শুরু হলে সাধারনত এ পতন কিছুদিন চলতে থাকে। একদিন পতন হলে এর পরে অনেকের মধ্যে ট্রিগার-সেলের প্রবনতা থাকে। এর বাইরে আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে ঈদের পর থেকেই ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ওপর ঋণের চাপ আসা শুরু করেছে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহন কম থাকায় সম্ভবত বাজার এমন নিম্নমূখী প্রবনতা দেখাচ্ছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান নির্বাহী শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমকে বলেন, ‘ব্যাংকসহ বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু হবার কারণে বিনিয়োগকারীরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছেন। এর মধ্যে বেশকিছু কোম্পানির মুনাফা এবং আয় কমে যাওয়ায় বাজারে নিম্নমুখী প্রবনতা এসেছে। এর পাশাপাশি বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশও কিছুটা আতঙ্কগ্রস্থ করছে। স্পর্শকাতর বাজারে এমন বিষয়গুলো প্রভাব তৈরী করে থাকে।

এদিন শুরু থেকেই একটানা পড়তে থাকে এবং দিনশেষে সূচকে ব্যাপক পতন লক্ষ্য করা গেছে। এদিন সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে উভয় বাজারে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে। এদিকে আজ ডিএসইতে ৭৫.৭৯ শতাংশ কোম্পানির দর পতন ঘটেছে।

দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৭১৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১২৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৭৮৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩১৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ২৪১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৩০৮ কোটি ৯০ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

এর আগে মঙ্গলবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৭৭৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১৪১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৮১২ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৪৪৯ কোটি ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ  ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৪০ কোটি ৫৯ লাখ ৬ হাজার টাকা বা ৩১.২৮ শতাংশ।

এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ১১৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮৭৮৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ১৯৮টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

এর আগে মঙ্গলবার সিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৮৯০৫ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৩৪ কোটি ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ  সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকা বা ৩৮.৪০ শতাংশ।

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/ওহসি/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.